পার্ক সার্কাসে নারকীয় কাণ্ড! কনস্টেবলের ছোড়া গুলিতে মৃতা তরুণী, আহত আর ২
কেন এই ঘটনা! ভাবছে চড়ুপ লেপচার পরিবার

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: কোথা থেকে কি হয়ে গেল, তাই ভাবতে পারছেন না মৃতা রিমা সিংহের মা। প্রতি দিনের মতো অফিসের বের হয়েছিলেন। অ্যাপ বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ আচমকা চড়ুপ লেপচার গুলি এসে লাগে রিমার মাথার পিছনে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ শুক্রবার দুপুরে পার্ক সার্কাসের কাছে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের এলোপাথাড়ি চলা গুলিতে হতভম্ব পুলিশ প্রশাসন থেকে কলকাতা নগরী। রিমা ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ওই কনস্টেবলের ছোড়া গুলিতে দু’ জন আহত হয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন কলিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ বসির আলম নোমানি (৪৮)৷ তাঁর ডান কাঁধে গুলির ক্ষত রয়েছে৷ তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল৷ এ ছাড়াও মহম্মদ সরফরাজ আলম নামে ১৯ বছরের এক যুবকের দু’ হাতেও গুলির বারুদের আঘাত রয়েছে৷ কয়েকদিন আগেই বিহার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিল সে৷ দু’ জনকেই এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়৷ পরপর গুলি করে আত্মঘাতী হন এই কন্সটেবল। বাংলাদেশের হাই কমিশনারে কর্তব্যরত চড়ুপ লেপচা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়ে নিজে আত্মঘাতী হন চড়ুপ লেপচা। কিন্তু কি কারণে চড়ুপ এই কাণ্ড ঘটনা তার হাল হদিশ খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। কয়েকদিন আগেই বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। বৌদিকে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন ছুটিতে বাড়িতে ফিরবেন। বাড়ির ছেলের ঘটনায় স্তম্ভিত পার্ক সার্কাসে আত্মঘাতী কালিম্পংয়ের লোলে বস্তির বাসিন্দা পুলিশ কর্মী চুডুপ লেপচার পরিবার।
গত ২৭ মে ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। ভালোই ছিলেন তিনি। অবসাদের লেশমাত্র ছিল না। ৮ জুন ট্রেনে কলকাতায় ফিরে যান। গতকালও বোনের সঙ্গে মোবাইলে শেষ কথা হয়েছিল। কথা দিয়েছিলেন কাজ শেষে ফোন করবেন। তার পর এই বীভৎস ঘটনা।