জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াসে চারাগাছ দিয়ে উৎসাহিত হেলমেট আরোহীদের

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস: সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ-এই বুলি শুধু মুখে আওড়ালে হবে না, বাস্তবে করে দেখাতে হবে। প্রয়োজনে এর ব্যবহারিক প্রয়োগ কতটা হচ্ছে, তার দেখভালের দায়িত্ব ও নিতে হবে। অন্যথায় এ কর্মসূচি মাঠে মারা যাবে। হয়তো লোক দেখানো কর্মসূচি পালন হবে ঠিকই কিন্ত বাস্তবে এর কোন প্রভাব পড়বে না। রাজ্য সরকার কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন সহ নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অবিরত। মানুষ কি সত্যিই সে পথে হাঁটছে? এ প্রশ্ন পথচলতি সচেতণশীল নাগরিক বৃন্দের। কারণ আজ পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আগাম বার্তা থাকায় পথচলতি বাইক আরোহীরা হয়ত হেলমেট পড়েছে, অন্যথায় অধিকাংশ দিনেই হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীদের ভীড়ই চোখে বেশি পড়ে বলে জানাচ্ছেন বগুলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একাধিক ব্যবসায়ী।
সমাজ তথা জনসাধারণ কে বার্তা দিতে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে এই ধরনের বিভিন্ন জনসচেতনা মূলক কর্মসূচি রূপায়নে। এতেও কি মানুষের চৈতন্য হবে! এ লাখ কেন, কোটি টাকার প্রশ্ন। আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হয়তো অপেক্ষাই করতে হবে সকলকে। এমনই এক কর্মসূচি পালিত হল ৭ ই জুলাই জনবহুল বগুলা বাসস্ট্যান্ডে। বগুলার সুশৃঙ্খল স্মার্ট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নেতাজী ইউথ ফোর্সের তত্ত্বাবধানে হাঁসখালি থানার পুলিশ প্রশাসন সহ ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটির বগুলা ইউনিট, বগুলা মহাকাল সেবাশ্রম, স্বজনভূমি ও বগুলা রুটি ব্যাংকের সহযোগিতায়, পথ চলতি বাইক আরোহীদের বার্তা দিতে সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ কর্মসূচি পালিত হয়। হেলমেট পরিহিত বাইক আরোহীদের উৎসাহিত করতে একটি করে চারাগাছ উপহার দেওয়াই মুল লক্ষ ছিল উদ্দোক্তা কর্তৃপক্ষের। সমাজ কে বার্তা দিতে এধরনের উদ্দোগ সত্যিই আজকের দিনে অত্যাবশ্যিক।