মছলন্দপুর…..গাঁজা বিক্রির বিষয়ে এসপির কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের

ধৃমল দত্ত, ব্যারাকপুর: মছলন্দপুর পুলিশ ফাঁড়ির অদূরেই গাঁজা বিক্রি চলছিল অফিসার ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর চিন্তামণি নস্করের মদতে। রমরমিয়ে চলা গাঁজার কারবার, পুলিশের ইন্ধনে মছলন্দপুরের এই গাঁজার কারবার হয়ে উঠেছিল এলাকার কুটির শিল্প। ফলে মছলন্দপুর এলাকার যুব সমাজের মেরুদন্ড ভেঙে পড়েছিল।
এই গাঁজা কারবারীর থেকে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় শাসক দলের কতিপয় নেতারা মাসিক মাসোহারা তুলতেন। সেই গাঁজা বিক্রির সংবাদ সাংবাদিক দেবু দেবনাথ উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পুলিশ সুপারকে স্টিং অপারেশন চালিয়ে গাঁজা বিক্রয়ের ছবি পাঠিয়েছিল। সেই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল সেই সংবাদ প্রকাশ করতেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তখনি মছলন্দপুর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর চিন্তামণি নস্করের রোষানলে সাংবাদিক দেবু দেবনাথ। তার বিরুদ্ধে ওই অফিসার ইনচার্জ চিন্তামণি নস্কর একের পর এক মিথ্যা মামলা করতে থাকে তারপরেই হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি মাধ্যমে পুলিশের এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে রিট পিটিশন ফাইল করে সাংবাদিক দেবু দেবনাথ।
আরও পড়ুন:ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় নতুন আইন অনুমোদন
যে মামলার নংWPA ৬৫২৮/২০২০ ওই মামলাতে আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক দেবাংশু বসাক উভয় পক্ষের কথা শুনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে মছলন্দপুর ফাঁড়ির অদূরে গাঁজা বিক্রির বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন এখন দেখার বিষয় জেলা পুলিশ সুপার ওই গাঁজা বিক্রির রমরমা কারবারের কথা বাস্তবে তুলে ধরেন কিনা।
এদিকে সাংবাদিক দেবু দেবনাথের অভিযোগ মছলন্দপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর চিন্তামণি নস্করের সঙ্গে তার স্ত্রী অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ।