
নয়াদিল্লি: হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ‘হাই ডোজ’ কমায় করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা। এমনই দাবি করা হয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এক সমীক্ষা তথ্যে। করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা বিশ্বের ৮০টি দেশে ৭০ রকমের ড্রাগ নিয়ে সলিডারিটি ট্রায়াল চলছে। প্রথমের দিকে করোনা রুখতে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে গুরুত্ব দেন একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালের তথ্যকে সামনে এনে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
যদিও তারপরেও ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই ওষুধের ব্যবহার চলছিলই। তার মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে এক সমীক্ষা তথ্য প্রকাশ করল আইসিএমআর। তাঁদের তরফে ল্যানসেটের তথ্য উল্লেখ করেই দাবি করা হল, করোনা আক্রান্তদের সংক্রমণ কাটাতে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ভূমিকা আছে কিনা, সেটা প্রাধান্য বিষয় নয়। বরং সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যে সব স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন, তাঁদের শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের হাই ডোজ কার্যকরী ভূমিকা নেবে। তবে এই ওষুধের ডোজের হেরফেরে রোগীদের মৃত্যুহার বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে ওই সমীক্ষা তথ্যে।
আরও পড়ুন: আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গরা বহুকাল ধরে পুলিশে বর্বরতার শিকার: ইলহান ওমর
আইসিএমআরের দাবি, করোনার ঝুঁকি বেশি, এমন স্বাস্থ্যকর্মীদের বেশি ডোজে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দিয়ে দেখা গেছে তাঁদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। কারণ, ২১ হাজার ৪০২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের জেরেই এঁদের মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা পজিটিভ। তাছাড়া হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে সেটাও তেমন গুরুতর নয়। তবে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের অল্প ডোজ নেওয়ার পরও করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমার কোনও প্রমাণ মেনেনি।
মনে করা হচ্ছে, আইসিএমআরের এই সমীক্ষা তথ্য খুব দ্রুত করোনা মোকাবিলায় নতুন দিশা দেখাতে পারে।