বাজারে এল রুপালি শস্য, খুশি আমবাঙালি

বিশ্বজিৎ হালদার, কাকদ্বীপ : সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার, মাত্র ৩ দিন পরেই বাজারে এলো ইলিশ। ১৫ই জুন থেকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মৎস্য শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। এরপরই সুন্দরবনের প্রায় ৩ হাজার ট্রলার গভীর সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিল ইলিশের সন্ধানে। ১৭ই জুন হঠাৎই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। উত্তাল ঢেউয়ের মুখে পড়ে উপকূলের দিকে ট্রলার নিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন মৎস্যজীবীরা।
তবে বেশিরভাগ ট্রলার বাঘেরচড়, ছাইমারি দ্বীপ ও কেঁদো দ্বীপে নঙ্গর করে থেকে গেলেও, বেশ কয়েকটি ট্রলার ইলিশ নিয়ে নামখানা ও কাকদ্বীপের মৎস্য বন্দরে ফিরে এসেছে। ট্রলার গুলিতে প্রায় ৬ ক্যারেট করে মাছ ছিল বলে জানা যায়। বর্তমান ওই ইলিশ মাছ বিক্রির জন্য পাইকারি বাজারে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এক মৎস্যজীবী জানান, “এ বছর বাজারে ইলিশের দাম ভালো রয়েছে। তবে আমদানি ও চাহিদার উপর এই দাম ওঠা নামা করে। আরও দু’সপ্তাহ না যাওয়া পর্যন্ত, ইলিশের দরদাম নিয়ে সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
তবে বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের মাছের পাইকারি বাজারে প্রায় ৪০ মন মাছ এসেছে। এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবারের সহ মৎস্য অধিকর্তা জয়ন্ত প্রধান বলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে বেশ কিছু ট্রলার উপকূলের ফিরে এসেছে। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের মাছের পাইকারি বাজারে প্রায় ৪০ মন মাছ এসেছে। তার মধ্যে প্রায় ২৫ মন ইলিশ মাছ রয়েছে।