হংকংয়ের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল, বন্ধ হয়েছিল Apple daily-র বিজ্ঞাপন, আটক কিংবদন্তী সাংবাদিক জিমি লাই
বেজিংয়ের রোষে পড়ার ভয়ে এই সংবাদপত্রে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো একেবারেই প্রায় বিজ্ঞাপন দিত না, সংবাদপত্র চালানোর খরচ দিতেন লাই নিজেই
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাংবাদিককে আটকের বিরুদ্ধে ফের উত্তাল হংকং। ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে হংকংয়ের গণতন্ত্রের দাবিতে বারবার মুখ খুলেছেন। বেজিংয়ের আরোপ করা নতুন নিরাপত্তা নীতির ঘোরতর বিরোধিতা করেছেন। বলেছেন, এই নীতি আসলে হংকংয়ের ‘কফিনের পেরেক’। সেই মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে সোমবার গ্রেপ্তার করল পুলিশ। হাতকড়া পরিয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেল ৭১ বছরের লাইকে।
নতুন নিরাপত্তা নীতি অনুযায়ী, বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ থাকা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অভিযোগেই হংকংয়ের সংবাদ পত্রের মালিক লাই সহ সাত জনকে আটক করা হল। লাইয়ের দুই ছেলেকেও আটক করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
সোমবার সকালে লাইয়ের সংবাদপত্র অ্যাপল ডেইলি–র দপ্তরে অন্তত ২০০ জন পুলিশ কর্মী তল্লাশি চালায়। সেই ভিডিও সাংবাদিকরা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ভিডিও–তে দেখা গেছে, সংবাদপত্রের সম্পাদক ল ওয়াই–কং পরোয়ানা দেখতে চাইছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের পরোয়ানা নিয়েই তল্লাশি চালিয়েছে তারা। হংকংয়ের সাংবাদিক সংগঠনের প্রধান ক্রিস ইয়ুং এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে জানিয়েছেন।
লাইয়ের অ্যাপল ডেইলি বারবার বেজিং সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে। বেজিংয়ের রোষে পড়ার ভয়ে এই সংবাদপত্রে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো একেবারেই প্রায় বিজ্ঞাপন দিত না। সংবাদপত্র চালানোর খরচ দিতেন লাই নিজেই। জুনের শেষে হংকংয়ে এই নতুন নিরাপত্তা নীতি আরোপ করে বেজিং। হংকংয়ের প্রতিবাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়। এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন লাই। গত বছরের শেষে পথেও নেমেছিলেন। সেই বিক্ষোভের পিছনে লাইয়েরই ‘কালো হাত’ দেখেছিল চীন সরকার।
গত বছর তিনি মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে দেখা করেন। তারপরেই ক্ষোভ বাড়ে বেজিংয়ের। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তোলে। লাই যদিও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিদেশি রাজনীতিকদের সঙ্গে দেখা করার অধিকার রয়েছে হংকংবাসীর। নতুন নিরাপত্তা নীতি আরোপের দিন কয়েক আগে, জুনের মাঝামাঝিই তিনি জানিয়েছিলেন, গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য তৈরি তিনি। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।