
অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: পুজোর সময়ে সামান্য অসতর্কতার ফল যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তার প্রমাণ নিলল যাদবপুরের ইব্রাহিম রোডের একটি দুর্ঘটনায়। সিল্কের শাড়ি পরে গৃহকর্ত্রী দোলা মিত্র (৬৩) ব্যস্ত ছিলেন লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে। কিন্তু বুঝতে পারেননি, তাঁর সিল্কের শাড়িতে ধরে গিয়েছে পুজোর প্রদীপের আগুন। শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ যাদবপুরের ইব্রাহিম রোডের মিত্র পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ যাদবপুরের ইব্রাহিম রোডের মিত্র পরিবারে শুরু হয়েছিল বাৎসরিক কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। পুজোর জন্য প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রসাদের থালা সাজাচ্ছিলেন বাড়ির কর্ত্রী দোলা মিত্র। পরনে ছিল সিল্কের শাড়ি। পুজোর কাজ করার সময় হঠাৎই শাড়ির এক কোণায় প্রদীপের আগুন ধরে যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শাড়িটি জ্বলে উঠে দোলাদেবীকে অগ্নিদ্বগ্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন:পঠনপাঠন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে খুলছে স্কুল-কলেজ… জারি নির্দেশিকা
প্রাণে বাঁচতে তিনি গায়ে আগুন নিয়েই বাথরুমের দিকে ছুটে গেলেও ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা মিলে তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর শরীরের ৮৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। তারপরেও চিকিৎসা শুরু করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। যদিও শনিবার সকালেই মৃত্যু হয় দোলাদেবীর। তবে এটি নিছকই দুর্ঘটনা না কেউ এর পিছনে যুক্ত ছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।