আমফানের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হাওড়া, কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৩ কোটি
জেলা প্রতিনিধি, হাওড়া: আমফান ঘূর্ণিঝড়ে হাওড়ায় কৃষি ক্ষেত্রে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা প্রায় ৮৩ কোটি টাকার মতো। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রাথমিক রিপোর্টে হাওড়ার কৃষি দফতর এমনটাই জানিয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত হাওড়ার বহু জায়গা এখনও বিদ্যুৎ ও পরিশ্রুত পানীয় জল বিহীন অবস্থায় রয়েছে। তবে সরকারি দফতরগুলো হাওড়াকে ছন্দে ফেরানোর জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত আমফান ঘূর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছে হাওড়ার উপর দিয়ে। ঝড়ের দাপটে আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ঘন্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। ঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জনজীবনে। পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি দফতরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। আমফান ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে ধান, পাট, তিল, বাদাম, পান সহ বিভিন্ন ধরনের ফলের ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি দফতরের কর্তাদের দাবি ঘূর্ণিঝড়ের কথা আগে থেকে প্রচার করার ফলে লোকেরা সিংহভাগ জমির বোরো ধান তুলে ঘরে নিতে সক্ষম হয়। তবে অনেকেরই বাড়িতে থাকা ধান বৃষ্টির জলে ভিজে গিয়েছে। আর পাট, তিল, বাদাম, পান চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলার কৃষি দফতরের এক কর্তা বলেন, আমরা আমাদের জেলার তথ্য হাওড়া জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। তারপর প্রশাসনের নির্দেশ মতো আমরা কাজ করব।
প্রসঙ্গত, আমফানের প্রভাবে হাওড়ার প্রতি ব্লকে কমপক্ষে হাজার তিনেক বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শ্যামপুর ১ ও ২ ব্লক এবং বাগনান ১ ও ২ ব্লকে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। এর মধ্যে শ্যামপুর যেন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এদিকে গাছ ও বিদ্যুতের পোস্ট উপড়ে বা ভেঙে পড়ার ফলে এখনও বিদ্যুৎ ও পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। জোরকদমে কাজ করছে বিদ্যুৎ দফতর। তবে বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন তারা হাওড়াকে ছন্দে ফেরাতে জোর কদমে কাজ করে চলেছে।