সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মানবিক মুখ, রাস্তায় যন্ত্রণায় কাতরানো বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ভর্তি করলেন হাসপাতালে

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: মানবিক মুখ দেখালেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। রাস্তায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন এক অশতীপর বৃদ্ধা। তবে কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের উদ্যোগে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হল। বসিরহাট মহকুমা হাসনাবাদ থানার টাকি থুবা মোড়ের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, সত্তোরর্ধ্ব এক বৃদ্ধা বারাসাত হাসনাবাদ টাকি রোডের উপর শীতের সকালে পড়েছিলেন। সমাজের বিশিষ্টজন থেকে বুদ্ধিজীবী পথচলতি মানুষ একবার উঁকি মেরে মুখ ঘুরিয়ে নিজেদের গন্তব্যে যাওয়ার ব্যস্ততা দেখান। বর্তমানে করোনা আতঙ্কে জর্জরিত গোটা মানবসমাজ। ওই বৃদ্ধার করোনা হয়েছে কিনা শুধু সন্দেহের উপর ভর করে একজন বৃদ্ধার দিকে ভালো করে তাকাননি বা কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। বার্ধক্য গ্রাস করেছে ঐ বৃদ্ধার চোখে-মুখে । চোখের চামড়া কুচকে গেছে, কখনো রাস্তার ধারে একটি দোকানের বারান্দায়, আবার কখনো কারুর বাড়ির উঠানে তার একমাত্র থাকার জায়গা।
কেউ কিছু দিয়ে গেলে সে টুকু তার দৈনন্দিন জীবনে দিন গুজরান করার একমাত্র উপায় । টাকি রোডের ধারে হাসনাবাদ থানার ট্রাফিক গার্ডের তিন সিভিক ভলেন্টিয়ার মন্টু দাস, সনাতন সরকার, পলাশ চন্দ্র সরদার ও হাসনাবাদ থানার কনস্টেবল গৌতম দাস তাদের চোখে পড়ে ওই বৃদ্ধা অজস্র যন্ত্রণা কাতরাচ্ছেন। এরপর ওই বৃদ্ধাকে গাড়ি করে টাকি গ্রামীণ হাসপাতলে ভর্তি করলেন। তাঁর চিকিৎসার সবরকম দায়িত্বর পাশাপাশি খাবারের বন্দোবস্ত করেন তাঁরা। আর ঠিক এভাবেই টাকি শহরের অমানবিক দৃশ্য ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এই উদ্যোগ এই দুইয়ের সাক্ষী থাকলো বসিরহাটের টাকি শহর।