গ্রামীণ এলাকায় হাইড্রোপনিকস ও অ্যাকোয়াপনিকস পদ্ধতিতে সবজি ও মাছ চাষ বাড়ছে

বাবলু ব্যানার্জি, কোলাঘাট: সারা ভারতবর্ষজুড়ে এখনো করোনা ভাইরাস বিরাজমান। লকডাউন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক ঘোষণা থাকায় দ্রব্যমূল্য লাগামছাড়া। সাধারণ মধ্যবিত্তরা অতিষ্ঠ।সব থেকে দুরবস্থা যারা দিন আনে দিন খায়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ট্রাকফোর্স বিভিন্ন বাজারে হানা দিলেও এখন পর্যন্ত বাজার অগ্নি মূল্য ।এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাড়ির ছাদে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সবজি ও মাছ চাষে মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই চাষ সম্পূর্ণ রাসায়নিক মুক্ত।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের দেউলিয়া বাজারে চলছে হাইড্রোপনিকস ও অ্যাকোয়াপনিকস পদ্ধতিতে চাষ। এই পদ্ধতিতে চাষ করে নিজের সংসার সামলে উদ্বৃত্ত সবজি ও মাছ বাজারজাতও হচ্ছে বলে জানালেন এই চাষের সঙ্গে যুক্ত মলয় পাড়ুই। হাইড্রোপনিকস শব্দটি মানে জলের উপর চাষ। এখানে মাটির কোনো ব্যবহার নেই, এমন একটি কৃষি পদ্ধতি যেখানে গাছ মাটি ছাড়া বেড়ে উঠে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান জলে দ্রবীভূত করে গাছের শিকড়ের সরাসরি প্রয়োগ করা হয় এবং গাছ তা গ্রহণ করে। অ্যাকুয়াপনিকস এমন একটি মাটিবিহীন চাষ যেখানে মাছ ও সবজি একসঙ্গে করা হয়। অ্যাকোয়াপনিকস যুক্ত জল গাছের গোড়া থেকে এসে নাইট্রোজেন গাছ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল সরকারকে বাংলা থেকে অপসারিত করা না পর্যন্ত এই লড়াই চলবে: প্রতীক পাখিরা
অ্যামোনিয়া বিহীন জল মাছের বেডে আসছে সেই জলে মাছ ও সবজি একই সঙ্গে হচ্ছে। এই বিকল্প চাষ সবটাই হচ্ছে ছাদের উপর। জনসংখ্যার সঙ্গে প্রযুক্তি ও সমানভাবে এগোচ্ছে। কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে।এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে আজ বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছে।এ থেকেই এই আধুনিক চাষ পদ্ধতি বেরিয়ে এসেছে।
বর্তমানে এই পদ্ধতিতে চাষ করা মলয় পাল এর সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন শহর ও গ্রামীণ এলাকার মধ্যে এখানেই তফাৎ। শহরকেন্দ্রিক স্থানে এই পদ্ধতি এখনও সেরকম না দেখা গেলেও গ্রামীণ এলাকায় শুরু হয়ে গেছে এই চাষ করার প্রবণতা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এক ছাদের তলায় এই চাষ করার প্রবণতা বাড়ছে গ্রামগঞ্জে। রাসায়নিক মুক্ত সবজি ও মাছের গুণাগুণ অপরিসীম আর বিজ্ঞানীরা সেই দিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।