মৃত্যুকে ভয় পাই না, কালনায় হুঙ্কার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ১৯৬৭ সাল থেকে রাজনীতি করছি। মৃত্যুকে ভয় পাই না। কোন নেতা কোথায় দাঁড়িয়ে আমাকে নিয়ে কী বললো তা নিয়ে ভাবি না।রবিবার বিকালে বিজেপি নেতার হুমকিকে এইভাবেই ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। কালনার মধুপুর খেলার মাঠে এইদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প সহ অন্যান্য কর্মসূচিকেও তুলে ধরেন।এইদিনের সভামন্চে উপস্থিত ছিলেন কালনা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শ্রাবণী পাল, কালনা ১ নং ব্লক সভাপতি শান্তি চাল, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সৌরভ দেবনাথ প্রমুখ।
কয়েকদিন আগেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।কিন্তু করোনাও যে তাকে কাবু করতে পারেনি তা বোঝা যায় তার এইদিনের ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক বক্তব্যে।এইদিনের সভামন্চ থেকেই তিনি উল্লেখ করেন যে, ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি।স্বাভাবিক কারণে অনেক মৃত্যুভয়কে তিনি সামনি সামনি দেখেছেন।আর এইসব বিষয়কে তিনি ফুৎকারে উড়িয়েও দিয়েছেন। ওইসবকে কোনদিনই আমল দেননি। তিনি নিজেই একসময় দলের হয়ে প্রচারের জন্য দেওয়ালে- দেওয়ালে পোষ্টারও মেরেছেন। পায়ে হেঁটে, সাইকেলে চেপে তিনি জনতার দরবারেও পৌঁছে গেছেন তাদের ও এলাকার উন্নয়নের ভাবনা নিয়ে।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে কালনায় এক ডেপুটেশণে এসে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রিমিনাল বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন স্বপন দেবনাথ ও অনুব্রত মণ্ডল সহ তৃণমূলের গুণ্ডারা আর ছয় মাস বাদ বিকাশ দুবে হয়ে যাবে। আর তারপর থেকেই বেশ উত্তপ্ত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলা রাজনীতির ময়দান। ওই বিজেপি নেতার মন্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে তার শাস্তিরও দাবি তোলেন বিদ্বজনেরা। আর তারপরেই এইদিন রবিবারের সভামন্চ থেকে সপ্তমে সুর চড়ান স্বপনবাবু।
তিনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন,‘আমি ‘ক্রিমিনাল’ কিনা তা জানেন মানুষই।গণদেবতা রয়েছেন,আমার বাঁচা-মরা তাদের হাতেই।’এইদিনের সভায় বিভিন্ন দল থেকে পন্চাশ জন ব্রাহ্মণ পুরোহিত সহ শতাধিক মানুষ তৃণমূলে যোগ দেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।