fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

শুভেন্দু-অভিষেকের কথার মাঝে আমি ঢুকতে রাজি নই: অনুব্রত

দিব্যেন্দু রায়, মঙ্গলকোট: শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- শুভেন্দুর মধ্যে কার্যত বাক যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার মঙ্গলকোটে দলীয় কর্মসুচীতে যোগ দিতে আসা তৃণমূলের বীরভুম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে এনিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য নেতা।অভিষেকও রাজ্য নেতা । ওরা কি বললো না বললো ওটা ওদের ব্যাপার । আমি ওর ভিতরে ঢুকতে রাজি নই । তবে গ্রামগঞ্জের মানুষ মাটিতেই পা রেখেই রাজনীতি করে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “শুভেন্দু দলেই আছে। দল ছাড়েনি। শুভেন্দু বলেছি কি, ‘আমি দলে নেই ? তাই এখনই এনিয়ে মন্তব্য করব না। যখন দল ছাড়বে তখন মন্তব্য করব।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মঙ্গলকোটে বালির বেআইনি কারবার ও তাঁর অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে জেলা পুলিশ ও জেলাপ্রশাসনের কাছে নালিশ জানিয়ে আসেন। গত রবিবারেও পশ্চিম মঙ্গলকোটে দলীয় কর্মসুচীতে যোগ দিতে এসে জেলবন্দি স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্ত দিয়ে মন্ত্রী দাবি করেন, তাঁকে অন্যায়ভাবে জেলে ঢোকানো হয়েছে। এছাড়া অনেক পুরনো কর্মীকেও অন্যায়ভাবে জেলে ঢোকানো হয়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

এই প্রসঙ্গে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ওসব বাজে কথা। অন্যায় করলে জেল খাটতে হবে । সে (জেলবন্দি তৃণমূল নেতা) অন্যায় করছে তাই জেল খাটছে। যদি নির্দোষ হয় তবে সে জেল থেকে বেড়িয়ে আসবে।’

এদিন মঙ্গলকোটের মাজিগ্রামে বিশ্বেশ্বরী হাইস্কুলে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন হয়। মঙ্গলকোট বিধানসভার মাজিগ্রাম, ভাল্যগ্রাম ও আলমপুর এই তিন অঞ্চলে দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিনের কর্মসুচীতে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীসহ ব্লকের নেতারা।

Related Articles

Back to top button
Close