আমি প্রগতিশীল একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছি: দ্রোপদী মুর্মু

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: ভারতের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দ্রৌপদী মুর্মু সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দিয়েছেন। ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নির্বাচিত হওয়া দ্রৌপদী সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। ভাষণে দ্রৌপদী বলেন, ‘সবার আশীর্বাদে আমি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছি। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমিই দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া প্রথম ব্যক্তি, যে ভারতের স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছে। ভারতের নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, স্বাধীনতাসংগ্রামীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে। ‘
ভারতের সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্রৌপদী বলেন, ‘মঙ্গলবার ২৬ জুলাই কারগিল বিজয় দিবস। দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের প্রতীক। আমি কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং দেশের সকল নাগরিককে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ‘
দ্রৌপদী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়। এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। আমার প্রেসিডেন্ট হওয়া প্রমাণ করে যে ভারতের দরিদ্র মানুষরাও স্বপ্ন দেখতে পারেন এবং সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন। ‘ নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার বিশ্বাস দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’।
ওড়িশার ময়ূরভাঁজ জেলার বায়দাপোসি গ্রামে ১৯৫৮ সালের ২০ জুন জন্ম দ্রৌপদীর। গ্রাম পঞ্চায়েতপ্রধানের এ মেয়ে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে পড়াশোনা করেন রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরের রমাদেবী উইমেন’স কলেজে। ক্যারিয়ার শুরু করেন ওড়িশা সরকারের করণিক হিসেবে।