
ইন্দ্রাণী দাশগুপ্ত , নয়াদিল্লি: যা করেছি বেশ করেছি প্রয়োজন হলে আবার করব। রাজ্যসভায় কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বেনজির বিরোধিতার অসৌজন্যতা প্রদর্শনের পরে বললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি আরো বলেন, সরকার জোর করে কৃষি বিল পাস করিয়ে নিল তার প্রতিবাদে আমরা যা করেছি আগামীকাল আবার তারই পুনরাবৃত্তি হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য লোকসভায় পাশের পর রবিবার রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে যায় কৃষি বিল ।অধিবেশন শুরুর প্রথম থেকেই এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কংগ্রেস-তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী নেতৃত্ব। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই দিন রাজ্যসভায় উপস্থিত ছিলেন ৪ জন সাংসদ। যারা হলেন দীনেশ ত্রিবেদী, দোলা সেন অর্পিতা ঘোষ এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন ।তৃণমূলের সাংসদেরা করো না পরিস্থিতির কারণে রাজ্যসভায় যে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তার কনো তোয়াক্কা না করে ওয়ালে নেমে এসে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর সরকারপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী সংসদের সমস্ত নিয়ম কানুন ভেঙে হঠাৎই ডেরেক ও’ব্রায়েন তেড়ে যান ডেপুটি চেয়ারপারসন এর দিকে ।এবং তার মাইক ভেঙে দেন ,ছিড়ে রাহল বুক ।তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদেরা এই নিয়ে যথেষ্টই হট্টগোল শুরু করেন । এরই মধ্যে ধনী ভোটে পাস হয়ে যায় কৃষি বিল।
যদিও পরে ডেরেক ও’ব্রায়েন সাংবাদিকদের কাছে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন যা হয়েছে তার জন্য আমি একটু অনুতপ্ত নই । রাজ্যসভার নিয়ম অনুযায়ী নিজের চেয়ার ছেড়ে গেলে সেই সাংসদের আর ভোটাধিকার দাবি করার বা ভোট দেওয়ার অধিকার থাকে না এটা জানা সত্ত্বেও তৃণমূলের সাংসদরা কেন ওয়ালে তেড়ে গেলেন তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সাংসদ । সংসদ বলেন কৃষকরা আমাদের হৃদয় আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন অনশন করেছেন তাই কৃষক বিরোধী বিল আমরা সহ্য করতে পারছিলাম না।
ডেরেক ও ব্রায়নের এই ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করেছে শাসক দল। সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান তৃণমূল বুঝতে পারছে যে তাদের দিন শেষ হয়ে আসছে। তাই কৃষক দরদী প্রমাণ করতে গিয়ে তারা বাংলার মুখ জাতীয় রাজনীতিতে আর একবার কালিমালিপ্ত করল । এগুলো আসলে সবই মিডিয়া স্স্টান্ট, এবং তৃণমূলের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। এরা যদি এতই কৃষক দরদী হবে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া কিষান সম্মান নিধি যোজনার টাকা থেকে বঞ্চিত রাখত না বাংলার কৃষকদের ।ওরা আসলে বুঝতে পেরেছে মানুষ আর ওদের কথা শুনছে না ।তাই এই ধরনের পাগলামো করে নিজেদের মিডিয়াতে ভাসিয়ে রাখতে চাইছে।