দিল্লিতে দায়িত্ব পেলেও বাংলায় আমার লড়াই চলবেই: দিলীপ ঘোষ

শরণানন্দ দাস,কলকাতা: অভিজ্ঞতা বেড়েছে বলেই পার্টি বড়ো দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু দিল্লিতে দায়িত্ব পেলেও বাংলায় তিনি লড়াই জারি রাখবেন। মঙ্গলবার ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণের পর সাফ জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ দাবি করেছেন, দিল্লি থেকে তাঁকে বলা হয়েছে এবার রাজ্য রাজনীতির পাশাপাশি দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য প্রান্তেও তাঁকে কাজে লাগানো হবে। তবে, দিল্লি যে দায়িত্বই দিক রাজ্যে তাঁর লড়াই চলবেই। তাঁর বক্তব্য,’দল যে রকম দায়িত্ব দেবে তেমনভাবে কাজ করব। নতুন সভাপতি যেভাবে আমাকে ব্যবহার করতে চাইবেন, সাহায্য চাইবেন, আমি সেভাবেই সাহায্য করব। দলের কর্মী হিসাবে কাজ করব। বাংলায় আমার যেমন কাজ চলছে, তেমন চলবেই।’
সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতির পদে খোলামনেই স্বাগত জানিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। মঙ্গলবার প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন,’ একুশের নির্বাচনের পর নাড্ডাজির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। বাংলা নিয়ে, সংগঠন নিয়ে কথা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমার ‘মিশন’ সম্পূর্ণ হয়েছে। পার্টি নতুন ভূমিকায় এসেছে, এখন নতুন মুখ, নতুন নেতৃত্বের আসা উচিত। আলোচনায় সুকান্তের নাম ছিল।’ এইসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘আমরা যেখান থেকে শুরু করেছিলাম তখন একটা আলাদা পরিচিতি ছিল। পশ্চিমবঙ্গে কেউ নাম নিত না। আজ বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল, বিধানসভায় তৃণমূলের সমান শক্তির দল। সুকান্তের মতো শিক্ষিত , বুদ্ধিমান তরুণ মুখকে ভবিষ্যতের কথা ভেবেই দল দায়িত্ব দিয়েছে।’
এদিন দলে্র হেস্টিংস দফতরে সম্বর্ধনা সভায় তিনি বলেন, ‘এতদিন রাজ্য রাজনীতির অধিকাংশ নেতা হত কলকাতা কেন্দ্রিক। যার ফলে শুধু কলকাতার উন্নয়ন হত, জেলার উন্নয়ন হত না। আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্য সভাপতি পেয়েছি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দক্ষিণবঙ্গের। প্রথমবার এমন হচ্ছে যে, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি দুজনই জেলার লোক। এর ফলে এবার জেলার উন্নয়ন হবে।’
এদিন রাজ্য দফতরের সম্বর্ধনা সভায় দিলীপ ঘোষ তাঁকে পদ্মফুল, পেন ও মালা উপহার দেন। দিলীপবাবু বলেন,’শিক্ষক মানুষ তাই পেন দিলাম আপনাকে। নতুন পর্যায় শুরু করল বিজেপি। হিংসার বিরুদ্ধে পার্টিকে দাঁড় করানোর জন্য আমার যোগ্যতা-ক্ষমতা অনুযায়ী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে লড়েছি। একজন যুবককে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যে পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে সুকান্তর নেতৃত্বে লড়াই করব। দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। সুকান্ত শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, মার্জিত। রাজ্য সভাপতি হিসাবে তিনি সফল হবেন। ইতিহাসে নাম লিখবেন। পুরনো কর্মীরা পার্টির নতুন নেতাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবে।’