
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: দিলীপ ঘোষ বাংলা ছেড়ে দিন। তোপ দাগলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার কলকাতায় ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুরমন্ত্রী, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ চলে যাক গুজরাটে। আমরা বাংলায় ভালো আছি।’ এদিন সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাকে গুজরাত বানাতে চান বলে মন্তব্য করে ছিলেন। তারই পালটা বলেন ফিরহাদ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলাকে গুজরাট হতে দেবনা। ফিরহাদ হাকিম এর মতই এদিন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।
এদিন ফিরহাদ দাবি করেন গুজরাটে প্রক্রিত উন্নয়ন হয়নি, শুধুই মানুষ খুন করা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন উন্নয়ন নয়, গুজরাটে ২০০০ মানুষ খুন হয়েছে। ইসরাত জাহানের মত অনেকের এনকাউন্টার করা হয়েছে। গুজরাট ও ইউপি হলে ভয় এনকাউন্টারে মরা যাবে মানুষ। এখানে যত বড় ক্রিমিনাল হোক না কেন তাকে কোর্টে পেশ করা হয়। ওখানকার নিয়ম শুধু এনকাউন্টারে মেরে দেওয়া। সেজন্য আমরা বাংলাকে গুজরাট হতে দিতে চাই না। তাই আমরা বাংলাকে বাংলাই রাখতে চাই।’
আরও পড়ুন- রাজ্যের অত্যাচারিতা বোনেরা ফোঁটা দিলেন দিলীপ ঘোষকে
আমজনতাকে উদ্দেশ্য করে এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার মাটি বাংলা স্থল পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক হে ভগবান। তাই রবীন্দ্রনাথের বাংলা নজরুলের বাংলা বিবেকানন্দের বাংলা ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বাংলাকে গুজরাট পরিনত করব না বাংলায় রাখব তা মানুষকে ঠিক করতে হবে।’
গুজরাটের উন্নয়ন মডেলের উপর প্রশ্ন তুলে ফিরহাদ বলেন, ‘গুজরাটে ন্যানো বন্ধ। শুধু আদানি আম্বানি ছাড়া বাকি সবারই দুরবস্থা। উল্টে বাংলায় শিল্পের অনেক বেশি সম্ভবনা।এখানে প্রতিদিন নতুন নতুন এমএসএমই খুলছে।বাংলার পরিস্থিতি অন্যান্য রাজ্যের থেকে ভালো স্থায়ী সরকার আছে। ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ করে কারখানা হয়না। এমন অবস্থা বাংলায় নয়।’
অন্যদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ জিডিপিতে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারতকে। তা নিয়ে এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশ আজ ভারতবর্ষকে আর্থিক উন্নয়ন এর পেছনে ফেলে দিয়েছে এটা দেশের জন্য কলঙ্ক।’ রাজ্যের অন্য আরেক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘বাংলাকে কখনও গুজরাত হতে দেব না। আমরা বাংলায় গুজরাতের দাঙ্গা চাই না। বাংলাকে বাংলার মতই রাখতে চাই।’