
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: পাইলট গেহলট দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত মরুরাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ। তার মাঝেই ঘোনা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বস্পা নেত্রী মায়াবতী। ‘বিধায়ক চুরি করার জন্য অশোক গেহলোটকে এবার শিক্ষা দেব, মঙ্গলবার সাওঙ্গাব্দিক বৈঠকে হুঁকার দিলেন বস্পা নেত্রী। এদিন তিনি বলেন, “গত বছর আমার ৬ জন বিধায়ক চুরি করেছিলেন অশোক গেহলট। কিনে নিয়েছিলেন তাঁদের। আমি অশোক গেহলটকে উচিত্ শিক্ষা দেব। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাব।”শুরু থেকে টিম পাইলটের বিধায়কদের বিজেপি কিনেছে বলে অভিযোগ হানছে টিম গেহলট। অন্যদিকে সেই গেহলটের বিরুদ্ধে আগে বসপার বিধায়ক কিনে শক্তি বৃদ্ধির অভিযোগ তুললেন মায়াবতী।
বসপা সুপ্রিমো সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগে এদিন তাঁর বান্ধব হয়ে শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছেন মরুরাজ্যের বিজেপি বিধায়ক মদন দিলওয়ার। সোমবারই অবশ্য বসপা বিধায়কদের কংগ্রেসে সামিল হওয়া নিয়ে তাঁর দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সিবিআইয়ের মামলা থেকে বাঁচতেই রাজস্থানের রাজনৈতিক সঙ্কটে সরাসরি বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। তিনি নিজেও জানেন, মরুরাজ্যে দলের ৬ বিধায়ক যে কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে তেমন সুবিধা করা যাবে না। কিন্তু কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ করে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছেন তিনি।
গেহলটকে নিশানা করে বসপা সুপ্রিমো এদিন বলেন, ‘আইন বিরুদ্ধভাবে এবং সংবিধানকে অসম্মান করে আমাদের দলের ৬ বিধায়ককে কংগ্রেস দলে নিয়েছেন গেহলট। নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এমন কাজ করেছেন তিনি। বসপার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। বসপাকে রাজ্যে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করেছেন। গেহলট জঘন্য রাজনীতির যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য আমরা উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করছিলাম। সেই উপযুক্ত সময় চলে এসেছে। এবার উচিত শিক্ষা দেব। প্রয়োজনে মামলা সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার বৈঠকে অশোক গেহলট, রাজ্যপালের তিনটি শর্ত নিয়ে আলোচনা
তবে, মায়াবতীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে টিম গেহলট। তাঁদের প্রশ্ন, এমনটাই হয়ে থাকলে তখনই সুপ্রিম কোর্টে যাননি কেন মায়াবতী? এক বছর পর এমন পরিস্থিতিতে কেন মুখ খুলছেন তিনি? তার প্রতিক্রিয়ায় মায়াবতী বলেন, “আমি চাইলেই যেতে পারতাম। উচিত্ শিক্ষা দিতে পারতাম। কিন্তু সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিলাম। এখন তা এসেছে।”
কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিজেপির নির্দেশেই চলছেন মায়াবতী। দলিত নেত্রী সেই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কি দেখতে পাচ্ছে না, রাজস্থানে কে চোরের মতো আচরণ করেছে? তারা কি গেহলোটের কাজকর্ম সম্পর্কে জানে না? তারা খুব সহজেই বিএসপি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে পারে। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে চাইছে। তাই বলছে, আমরা নাকি বিজেপির হাতের পুতুল।’ গেহলোটের সমালোচনা করে মায়াবতী বলেন, ‘রাজস্থানে ভোটের ফল বেরোনর পরে আমাদের ছয় বিধায়ক কংগ্রেসকে নিঃশর্ত সমর্থন করেছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, অশোক গেহলোট অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের ছয় বিধায়ককে তাঁর দলে যোগ দেওয়ালেন। তিনি অসাংবিধানিক কাজ করেছিলেন। এর আগে ক্ষমতায় থাকার সময়েও তিনি একই কাজ করেছিলেন।