
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ করোনা ভাইরাস রুখতে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না ভারত। ইতিমধ্যেই আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ গবেষণার ফসল কোভ্যাক্সিন এবং জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকভ-ডি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল উত্তীর্ণ হওয়ার পথে। এর ফলে মানুষের প্রত্যাশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে এই দুই স্বদেশি ভ্যাকসিনের ‘জরুরি অনুমোদন’ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা icmr -এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গভ। ভ্যাকসিন গবেষণার কাজ এখনও পর্যন্ত কতদূর এগিয়েছে, তার উপরে একটি উপস্থাপনা পেশ করেন তিনি।
এছাড়া করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা কী করছে, সেই বিষয়ে AIIMS-এর তরফেও সংসদীয় কমিটির সামনে তথ্য তুলে ধরা হয়। এইমসের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া। দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে সওয়াল জবাব চলে। দেশে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সে সময় কমিটির সদস্যদের মধ্যে বলরাম ভার্গভ জানিয়েছেন, ভারতীয় দু’টি কোভিড ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার পথে। তাঁর জবাবের রেশ ধরে সাংসদরা জানতে চান, কত দিনের মধ্যে ভারতের হাতে কোভিডের ভ্যাকসিন আসবে? এর উত্তরে ICMR-এর প্রধান জানিয়েছেন, চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য সাধারণত ৬ মাস থেকে ৯ মাস সময় লাগে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে জরুরি ভিত্তিতে এই সমস্ত ভ্যাক্সিনের অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।