বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে কৃষিভিত্তিক শিল্প হবে: লকেট চট্টোপাধ্যায়

তাপস মন্ডল, হুগলি: ২০২১ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার গড়লে সিঙ্গুরের কৃষকরা যদি কৃষি চায় তবে কৃষি হবে। শিল্প চাইলে শিল্প হবে। মোটের ওপর কৃষিভিত্তিক শিল্প হবে। সোমবার কেন্দ্রের কৃষি বিলের সমর্থনে সিঙ্গুরে একটি মিছিল করেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এদিন বিকেলে সিঙ্গুর গোপালনগর সাহানাপাড়া থেকে মিছিল শুরু হয়ে কোলেপাড়া, রতনপুর হয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মিছিল হয়। মিছিলে হাজির ছিলেন, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির জেলা সভাপতি সহ একাধিক নেতা কর্মীরা। এদিন গোপালনগর সাহানাপাড়া থেকে মিছিল শুরু হয়ে কোলেপাড়া এলাকায় মিছিল পৌছতেই সিঙ্গুরের কৃষকরা ঝাঁটা, জ্যুত এবং কালো পতাকা দেখিয়ে লকেট চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমনকি বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে কৃষকদের ধস্তাধস্তিও বেধে যায়। গোটা ঘটনাটি পুলিশের সামনেই ঘটে বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশি হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতন থেকে চারজন বাংলাদেশি সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ২০১৯ সালে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে সিঙ্গুরের কৃষকরা মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিলেন কিনা। ২০২১ সালে সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখানকার কৃষকরা যদি কৃষি চায় তবে কৃষ্টি হবে। শিল্প চাইলে মোটের ওপর কৃষিভিত্তিক শিল্প হবে। কারণ কৃষকরা সেটাই চায়। আগামী প্রজন্ম টেকনোলজিকে হাতে নিয়ে এগোতে চায়।
এদিন লকেট বলেন, কৃষকরা চাষ করেন। মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়। তাদের এই বিলটা নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিটা কৃষকের বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে বলব, মোদীজি আপনাদের জন্য ভেবেছে। তাই এই কৃষি বিল নিয়ে এসেছে। মোদীজি ফোঁড়েদের জন্য ভাবেনি। তিনি দুর্নীতিগ্রস্তদের জন্য ভাবেনি। তিনি কৃষকদের কথা ভেবেছেন। যাতে আপনারা আত্মনির্ভর কৃষক হয়ে উঠতে পারেন। এরপরে ক্ষুব্দ লকেট বলেন, এই সিঙ্গুর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান হয়েছে। এই সিঙ্গুরের কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতনও হবে।
যদিও এদিন সিঙ্গুরে কৃষকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সিঙ্গুর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মহাদেব দাস বলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে এসেছেন। বিজেপির মিছিলে সিঙ্গুরের কোন কৃষক ছিল না। বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে সিঙ্গুরে মিছিল করেছে। কেন্দ্র কৃষক বিরোধী বিল পাস করছে। অপরদিকে বিজেপি রাজ্যে কৃষক দরদি সাজার চেষ্টা করছেন। এই কারণেই সিঙ্গুরের কৃষকরা তাদের ক্ষোভ দেখিয়েছেন। কৃষকদের এই বিক্ষোভের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।