fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

যদি কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অমিত শাহ বহিরাগত হয়, তাহলে পিকে কিংবা শাহরুখ খান কোথাকার? জগন্নাথ সরকার

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর : রাজনীতিকে আজ তৃণমূল কংগ্রেস কোন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে! দেশের নাগরিকদের নিয়েও রাজ্যভিত্তিক বিভাজন?আঞ্চলিকতা! জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা সহ তুষ্টি করণের নিন্ম রুচির রাজনীতি এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসই আমদানি করেছে। নানা ভাষা, নানা মত, নানা বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ প্রগতিশীল রাষ্ট্র ভারতবর্ষ। আমাদের প্রথম ও শেষ পরিচয় আমরা ভারতীয়,এখানে প্রাদেশিকতা কিংবা বিভাজন টেনে, কি বোঝাতে চাইছেন মাননীয়া? নাকি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে মোকাবেলা করার জন্য তেমন কোনও ইস্যু নেই। ফলে যা ইচ্ছে তাই’ই আজ বাংলার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ভূলে গেলে চলবে না, বাংলার মানুষ এত বোকা নয় আর আপনার অনুপ্রেরণায় ও চলবে না। আপনার নিন্ম মানসিকতার রাজনীতি সবাই ধরে ফেলেছে,এবার আপনার বিদায়ের পালা। আপনি তৈরি থাকুন, ২০২১ সাল আপনার জন্য নয়।’ এমনটাই বললেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

 

সোমবার তাহেরপুরে দলের সাংগঠনিক কর্মী সভায় আলোচন প্রসঙ্গে কথাগুলি বলেন কর্মী বৈঠকের প্রধান আলোচক সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বিজেপির জননেতা তথা লোকপ্রিয় সাংসদ জগন্নাথ সরকার আরো বলেন, অতীতের একটি ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে,একবার ইন্দিরা গান্ধী আওয়াজ তুলেছিলেন দেশে গরিবী ওঠাও অর্থাৎ দারিদ্রতার অবসান ঘটিয়ে সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের ডাক দিয়েছিলেন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ঐ সময় এরাজ্যের শাসকদল বামফ্রন্ট কেন্দ্রের এই কর্মসূচির ভূল ব্যাক্ষা করে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করেছিলেন এবং রাজ্যের বৃহৎ অংশের শ্রমজীবী প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিষয়টি গিললেন এবং বামফ্রন্টের উদ্দেশ্য ফসল ও হয়েছিল সেবার,ঠিক একই ধরনের পথ অনুসরণ করেছে বর্তমানে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। রাজ্যে আঞ্চলিকতার বীজ বপন করে নতুন প্রজন্মের সামনে বিপদ সৃষ্টি করতে চলেছে মা মাটি মানুষের সরকার। রাজ্যে  কর্মসংস্থান নেই, শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা কাজের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বহিরাগত তত্বের উপর গুরুত্ব দিয়ে আগামীতে যদি ভীন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া কর্ম প্রার্থীদের উপর আক্রমন আসে তাহলে সেই দায় কে নেবেন? মাননীয়া সেই দায়ভার গ্ৰহণ করবেন তো? প্রশ্ন সাংসদ জগন্নাথ সরকারের।

 

যে দল বিরোধী রাজনৈতিক দলের সর্ব ভারতীয় নেতা-নেত্রীদের গায়ে বহিরাগত তকমার  বুলি আউড়ে রাজ্যবাসী কে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন,তাদের দলটি বর্তমানে যিনি চালাচ্ছেন অর্থাৎ ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর কোথাকার?যাকে কয়েকশো কোটি টাকায় ভাড়া করে দলের শীর্ষে বসানো হয়েছে সেই প্রশান্ত কিশোরই তো বহিরাগত! এই প্রশ্নের উত্তর আগে দিন,তারপর বিরোধীদের দিকে আঙ্গুল তুলবেন, এই বার্তা তৃণমূলীদের উদ্দেশ্যে। বাংলার ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহরুখ খান… কোথাকার? সে কি পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক? দিদিমনির কথা অনুযায়ী, বাংলায় কি এমন প্রতিভাবান কেউ ছিলেন না যে বাইরে থেকে অন‌ রাজ্যের একজনকে তুলে বাংলার ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে হল? রাজ্যে প্রশাসনিক পদে আসীন অধিকাংশ আই,এ,এস কিংবা আই,পি,এস অফিসারই তো অবাঙ্গালী এবং অন্য রাজ্যের, তাহলে তাদের সম্পর্কে কি বলবেন মাননীয়া এবং তার দলের সাঙ্গপাঙ্গরা। প্রসঙ্গত বাংলার যুবরাজের স্ত্রীও তো শুনেছি বহিরাগত, আহলে কি শুধু বিজেপির ক্ষেত্রেই এই অসুবিধা?

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের হুঁশিয়ারি, রাজ্যের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতা-নেত্রীদের গায়ে বহিরাগতের তকমা লাগিয়ে ২০২১ এর ভোট বৈতরণী পার হওয়া যাবে না, মাননীয়া এ বিষয়ে আপনি একশো শতাংশ নিশ্চিত থাকুন। আসলে মাননীয়া র দল,বিরোধীদের আক্রমণের কোন ইস্যু না পেয়ে বিদায় বেলা আবল তাবল বকতে শুরু করেছে।

Related Articles

Back to top button
Close