তৃণমূলের তাণ্ডবলীলা বন্ধ না হলে হাত ও পা কেটে দেব, হুঁশিয়ারি সায়ন্তন বসুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, দিনহাটা: তৃণমূলের তাণ্ডবলীলা বন্ধ না হলে হাত ও পা কেটে দেব। দিনহাটা গোসানিমারিতে বিজেপির দলের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। শনিবার এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি রাভা রায়, সাংসদ নিশীথ প্রামানিক, বিধায়ক মিহির গোস্বামী প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, “এদিনের সভায় নেতাজি বাজার থেকে আসার সময় দলের বেশ কিছু নেতা কর্মীকে সিতাইয়ে আটকে রাখে শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা। এছাড়াও বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করে। এদিন পুলিশকে সাথে নিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমণ যারা করছেন তার জবাব আমরা দিয়ে ছাড়বো। যুদ্ধ যখন ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধের দামামা যখন বাজিয়েছেন এর ফলাফল আপনাদেরকে পেয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা আইন-শৃঙ্খলা ভাঙতে চাইনা। শান্তি রক্ষা করতে চাই। কিন্তু তৃণমূল যদি মনে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ আর সমাজবিরোধীদের জোট বন্ধন বাঁচাতে পারবে না। তৃণমূলে এমন অবস্থা করব অঙ্গভঙ্গিও করতে পারবে না। বাংলায় গণতন্ত্র নেই, তৃণমূলেও গণতন্ত্র নেই। তৃণমূলের অনেক বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা বলছেন তৃণমূলের দল এখন বিহার থেকে আসা একজন কন্ট্রাকটর চালায়। তার নাম প্রশান্ত কিশোর। বাংলার মানুষের সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানোর জন্য। আমাদের ১৩০ জন কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। আমরা খুনের বদলে খুন চাইনা। কিন্তু চোখ যদি লাল করে তাকিয়েছ সেই চোখ উপড়ে নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে।
তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুয়ারে দুয়ারে সরকার নিয়ে যাচ্ছেন। গত ১০ বছরে কি নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলো এই সরকার। যারা বিভিন্নভাবে টাকা তুলেছে আজ তারাই দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছে। তাদেরকে যদি দুয়ারে দেখেন ধরে গাছে বেঁধে রাখার নিদান দেন সায়ন্তন। পুলিশের উপর ভর করে এই সরকার চলছে। আর পুলিশের একটি অংশ তৃণমূলের হয়ে ক্যাডারের কাজ করছে বলেও অভিযোগ আনেন।
এদিনের সভায় সাংসদ নিশীথ প্রামানিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে এলাকার বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বরমা বসুনিয়ার নাম উল্লেখ না করে তাকে জানোয়ার বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে যদি রাজনীতি করতে না দেন তাহলে লড়াই হবে। উপরে উপরে বিজেপির বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন আবার ভিতরে ভিতরে বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন। তৃণমূলের সিতাইয়ের বিধায়ক বিজেপিতে এলে তাকে নেওয়া হবে। তবে তার আগে প্রতিটি বিজেপি কর্মীর যাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছেন যাদের মারধর করেছেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আপনাকে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে।”
সভায় বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে অনেকেই। সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, “এদিন গোসানিমারিতে বিজেপির সভা শেষে ব্রহ্মোত্তরচাত্রা এলাকায় বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে তৃণমূলের কর্মী অরুণ কুমার বর্মনের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া ছাড়াও লুটপাট করা হয়। নিজেরাই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা করে মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। বিজেপি কর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে তাই আবোল তাবোল বকছেন।”