ইউক্রেন এই তিনটি শর্ত মেনে নিলে এখনই বন্ধ যুদ্ধঃ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসলেও বৈঠক বিশেষ ফলপ্রসূ হল না। এদিকে ইউক্রেন রাশিয়ার শর্ত মেনে নিলে যেকোনও মুহূর্তে হামলা বন্ধ করবে মস্কো। এই কথা জানিয়েছেন, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে পেসকভ বলেছেন, প্রথমত, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে স্বীকার করে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, লুহানস্ক ও দোনেত্স্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে হবে। তৃতীয়ত, ইউক্রেনকে অবশ্যই তার সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে এবং কোনও ধরনের জোটে (যেমন ন্যাটো) যোগদানের অভিপ্রায় থেকে সরে আসতে হবে। গতকাল খারকিভ সহ চারটি দেশে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে সোমবারও হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
পেসকভ দৃঢ়ভাবে বলেন, এই শর্তগুলো মেনে নিলে যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেন অভিযান বন্ধ করবে রুশ বাহিনী এবং ভবিষ্যতে ইউক্রেনের কোনো অংশ দাবি করবে না।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে দখল করে নেয় রাশিয়া। আর রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর লুহানস্ক ও দোনেত্স্ক অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় গত ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ বাহিনী।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। ক্রমাগত রাশিয়ান গোলাবর্ষণের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে মাটির তলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে সাধারণ নাগরিক। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ঘর ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ান হানায় এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু ও আরও এক ভারতীয় ছাত্র গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে আতঙ্ক আরও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ৪০৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ইউক্রেনে। আহত হয়েছে ৮০১ জন। তবে আসল সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।