হাজিরা এড়ালে এবার কি সিবিআইয়ের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারেন অনুব্রত!

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে বার বার হাজিরা এড়িয়ে নিজেকে আরও বিতর্কিত করে তুলেছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই নিয়ে দশমবারের ডাকও এড়িয়ে গেলেন তিনি। সোমবার একটি মেইল পাঠিয়ে হাজিরায় আসতে পারছি না বলে আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন তিনি। এর পরে সেখান থেকে চলে যান এসএসকেএম-এ। এদিকে হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার মতো অতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়, অনুব্রতর। এর পরে চিনার পার্কের বাড়ি হয়ে সোজা বোলপুরে চলে যান তিনি। এদিকে তার যাওয়ার পর পরই চিনার পার্কের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। তার পরেই বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে ফের সমনের নোটিশ দিয়ে আসেন এক সিবিআইয়ের আধিকারিক। বোলপুরে অনুব্রত বাড়িতে আসা চিকিৎসক জানিয়ে দেন, অনুব্রত মণ্ডল ‘বেড রেস্ট প্রয়োজন। কয়েকদিন পর জার্নি করলে ভালো হয়।’
এদিকে বার বার হাজিরা এড়ানোয় কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে সিবিআই। গতকালই কলকাতায় এসেছেন, সিবিআইয়ের অ্যাডিশন্যাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। তদন্তকারীদের মতে, অনুব্রতর প্রভাব খাটিয়ে গরু পাচারকারীদের সাহায্য করেছে এই সায়গল হোসেন। ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের নামে ও বেনামে থাকা সম্পত্তির খতিয়ান হাতে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এমন কি, তৃণমূল নেতার মেয়ের নামে থাকা সম্পত্তিরও হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তাই এবার যদি হাজিরা এড়ান, তাহলে আইনি পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তদন্তকারী সংস্থা।
গতকাল বৈঠকের সময় ভিডিও কনফারেন্সে দিল্লির সিবিআই দফতরের লিগ্যাল সেলের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তাতে আদালতে গিয়ে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়টি তুলে ধরার পক্ষে পরামর্শ দিয়েছে লিগ্যাল সেল। সিবিআই- এর একটা অংশ দাবি করছে, কাউকে সাক্ষী হিসেবে বারবার তলব করার পর হাজিরা এড়ালে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়ে থাকে।