যাত্রী নিরাপত্তায় সুরক্ষা মূলক কাজে গুরুত্ব দক্ষিণ পূর্ব রেলের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা আর লকডাউনের জেরে স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ। শুধুমাত্র পার্সেল এক্সপ্রেস, আর স্পেশাল ট্রেন চালু রয়েছে। এই অবসরে দক্ষিণ পূর্ব রেল যাত্রী সুরক্ষায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ণের দিকে নজর দিয়েছে। রেলের বিভিন্ন শাখায় ইঞ্জিনিয়ার, সুরক্ষা কর্মীসহ বিভিন্ন আধিকারিক দিবারাত্রি পরিশ্রম করছেন। উদ্দেশ্য যাত্রী পরিষেবা শুরু হলে সেরা স্বাচ্ছন্দ্য যাত্রীদের দেওয়া।
কিকি ধরনের কাজ করা হচ্ছে? (১) পুরনো রেল লাইন বদলানো, (২) দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ডিজিট্যাল প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। যা রেললাইনে ফাটল বা সঙ্কোচনের ঘটনাকে যথেষ্ঠ আগে চিহ্নিত করবে, (৩) পয়েন্টের গোলমালে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এই ধরনের ভুল মানুষের দ্বারা হয়ে থাকে। সেই কারণে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিঙ সিস্টেমের ব্যবহার করা হচ্ছে, (৪) ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমাতে ট্রেন প্রোটেকশন ওয়ার্নিঙ সিস্টেম, (৫) অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচের ব্যবহার। দক্ষিণ পূর্ব রেল মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনে এই কোচের সংখ্যা বাড়িয়েছে। পুরনো কোচে কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে একটি কামরা অন্য কামরার ঘাড়ে উঠে পড়ে। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ে। এলএইচবি কোচের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলেও কামরা একে অন্যের ঘাড়ে উঠে পড়ে না। ফলে হতাহতের সংখ্যা কম হয়। (৬) নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা চক্রের আয়োজন।