
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করলে পাটশিল্পের ব্যাপক লাভ হবে। বৃহস্পতিবার বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এর সঙ্গে এক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পাট শিল্পের উৎপাদন থেকে শুরু করে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ যথাযথ টাকা না দিলে সে ক্ষেত্রে ভারতে কোন ভাবেই পাট শিল্পের উন্নতি হওয়া সম্ভব নয় বলে এদিন স্পষ্ট করেন কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা তথা লোকসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।
এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।এতে তো পশ্চিমবঙ্গের আরও বেশি লাভ। কারণ, এতে এখানকার পাটশিল্পের ব্যাপক লাভ হবে। ভাবুন পশ্চিমবঙ্গে তৈরি পাটের ব্যাগ সারা দেশের মানুষের হাতে থাকলে রাজ্যের কী বিরাট লাভ হবে।” এ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে প্রদীপ বাবু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কি জানেন এক শিল্পে পাট কোথা থেকে আসে? তাকে আগে জানতে হবে কিভাবে পাট শিল্পকে বাঁচাতে হয়।” এর পরেই কংগ্রেস সাংসদের পাল্টা আক্রমণ, “পাট পচানো থেকে শুরু করে আসবের করে তাকে গানটি বাধা পর্যন্ত যে পরিমাণ খাটনি শ্রমিকদের হয় তার যথাযথ মজুরি মোদি সরকার দেয় না। এমনকি উৎপাদনের খরচ মোদি সরকার দেয় না। বাংলার এবং ভারতের পাট চাষিরা কিভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তা আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানতে হবে।”
আরও পড়ুন: শত্রুর মরদেহকেও এমন অসম্মান কেউ করে না: দিলীপ ঘোষ
প্রদীপ ভট্টাচার্য্য এদিন কটাক্ষ করে বলেন, “উনি তো পাটশিল্পের কোমর ভেঙে দিয়েছেন। সারাদেশে প্লাস্টিকের ব্যাগ ছড়িয়ে দিয়েছেন। এতে তাদের চাহিদা কমে আসছে।” তাঁর মতে, “আগে সিনথেটিক ব্যাগের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে ভারতে।” অন্যদিকে তাঁর আরও বক্তব্য, “ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি হয় এতে বাংলাদেশে 10% রিবেট পায়। তাতে ভারতের পাট শিল্পে ক্ষতি হচ্ছে।”
অন্যদিকে,কলকাতা ফের দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ”আমি মনে করি, কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। কলকাতায় উৎপাদনের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ছিল। আমরা সব সময় শুনে এসেছি, “হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে, ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমোরো”। এ প্রসঙ্গে প্রদীপ বাবুর মত, “দিল্লির উচিত কলকাতাকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ইন্দিরা গান্ধী একসময় সিএমডিএ ঘোষণা করেছিলেন কলকাতাকে ত্বরান্বিত করতে, কলকাতার উন্নয়নকে প্রসারণ করতে। সিএমডিএর পরিবর্তে তিনি কলকাতার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউনশিপ তৈরি করুন। কলকাতার বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্পগুলোকে খোলার ব্যবস্থা করুন, কলকাতার রাস্তাঘাট পরিষ্কার করুন, তাহলেই তো কোলকাতা বাঁচবে।”