বাঁকুড়ায় ফের ভাঙন ঘাসফুলে, বিজেপিতে ৮০টি পরিবারের যোগদান

অতনু রায় (বাঁকুড়া): পুজোর আগে বারবার বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ভাঙন দেখা গিয়েছিল। পুজো পার হতে না হতেই ফের ভাঙন শুরু হয়েছে শাসকদল তৃণমূলে। বুধবার বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া মন্ডল ওয়ানে ৬০টি পরিবার ও গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের বড়শাল অঞ্চল থেকে ২০টি পরিবার তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন বলেই বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়। শুধু তাই নয় বিজেপির তরফ থেকে কিছু নামও প্রকাশ করেন বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র। নামগুলি হল শালতোড়া মন্ডল ওয়ান থেকে যারা হলেন হারাধন খাঁন, কালামুদ্দিন খান, মহাদুল খান, আশরাফ খাঁন, মজনু সেখ, আজিজুল খাঁন, মহিনুর খাঁন,জিয়াউদ্দিন শেখ ও বড়শাল থেকে অসিত ধীবর, সুভাষ কুন্ড, ভৈরব বাউরি, জয়ন্ত ধীবর।
বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, ‘দিদি বাঁকুড়া জেলায় মিটিং-মিছিল করছেন আর এদিকে তার দলের লোক আমাদের যোগদান অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। কারণ দিদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন, তিনি কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। তিনি শুধু জঙ্গলমহলে এসে বলছেন জঙ্গলমহল হাসছে আবার পাহাড়ে গিয়ে বলছেন পাহাড়ের মানুষ হাসছে। আসলে মমতা ব্যানার্জিকে এখনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সেটা দেখে সবাই হাসছেন, আর পাহাড়ের মানুষ ও জঙ্গলমহলের মানুষ এখনও কাঁদছেন। অমিত শাহের আদিবাসী বাড়িতে যাওয়া দেখে দিদি আদিবাসী বাড়িতে যান, সেখানে কিন্তু আদিবাসীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন সেখানে কোনও উন্নতি হয়নি। মানুষ পঞ্চায়েত ভোটে লাঠিধারী গুন্ডাবাহিনীর ঔদ্ধত্যের উন্নয়ন দেখেছেন যাতে না মানুষ ভোট দিতে পারে স্বাধীনভাবে’।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত বোলপুর… দিলীপ ঘোষের সভায় যাওয়ার সময় বিজেপি সর্মথকদের উপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ১
এদিকে বাঁকুড়া জেলার যুবমোর্চার সভাপতি সুনীলের রুদ্র মন্ডল বলেন, ‘সাড়ে ন বছর পর দিদির অমিত শাহের বাঁকুড়ায় আসা দেখে বাঁকুড়ার কথা মনে পড়ল, বাঁকুড়াতে উন্নয়ন যে হয়নি কোনভাবেই তা দিদি নিজেও জানেন, তাই তিনি ভোটের সময় দুয়ারে দুয়ারে প্রায়শ্চিত্ত করতে এসেছেন’।