স্ত্রীকে উর্দু, আরবি শেখার জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, ধর্ম স্বতন্ত্রতার আইনে আটক স্বামী

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীকে উর্দু ও আরবি ভাষা শেখার জন্য চাপ দিত শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। সেই অভিযোগে আটক হলেন স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। মধ্যপ্রদেশের ধর্ম স্বতন্ত্রতার আইনে আটক করা হয়েছে এদের। মধ্যপ্রদেশে শহডোল জেলার ওই হিন্দু মহিলা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে এই যে, তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোর করে উর্দু, আরবি ভাষা শিখতে বাধ্য করছে। এই অভিযোগ আনার পরেই আটক করা হয় মহিলার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকদের।
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ওই মহিলা জন্মগত হিন্দু। তিনি জানিয়েছেন যে, ২০১৮ সালে তিনি বাড়ির অমতে ইরশাদ খান নামে ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি অভিযোগ করে বলেন যে, বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাঁকে জোর করে উর্দু, আরবি ভাষা শেখানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। এতটাই চাপ দিত যে, সেটা পরবর্তীকালে মানসিক অত্যাচারে পরিণত হয়। গত শনিবার ওই মহিলা বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যান। অন্যদিকে ইরশাদ খান অভিযোগ করে বলেছেন যে, শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাঁর স্ত্রীকে জোর করে বাপের বাড়িতে আটকে রেখেছে। যদিও পুলিশ ইরশাদের অভিযোগকে আমল না দিয়ে ধর্ম স্বতন্ত্রতা আইনে তাকেই গ্রেফতার করেছে।
কিছুদিন আগে ভোপালে এক মহিলা অভিযোগ করে বলেন যে, বিয়ের আগে তিনি জানতেন না যে, তাঁর স্বামী মুসলিম। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি আত্মগোপন করে।বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে আইন আনার কথা চলছে। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশে ‘ধর্ম স্বতন্ত্রতা বিল ২০২০’ নামে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এই খসড়ায় বলা হয়েছে যে, ধর্মান্তরের উদ্দেশ্যে বিয়ে করলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এছাড়াও যে ধর্মগুরু এই ধরনের বিয়ে দেবেন, তাঁর জেলও হতে পারে। এরইমধ্যে মধ্যপ্রদেশে শহডোল জেলার ওই হিন্দু মহিলার আনা অভিযোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।