
মোকতার হোসেন মন্ডল: সংখ্যালঘুদের উচ্চ শিক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার আসন সংখ্যা বাড়িয়ে প্রতি বছর মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ দিক, এমনটাই দাবি স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া। ওই সংগঠনের সভাপতি লাবেদ শফি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপের জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তাতে একাধিক ত্রুটি রয়েছে।’
তাঁর মতে, মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপের অন্যতম বড় একটি সমস্যা হলো এই বৃত্তির আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রতি বছর নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হয়না। শেষবারের মত এই বিজ্ঞপ্তি ২০১৮ সালে এবং তারও আগে ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এবার আবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তীয় এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি ঘটে চলা আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে না বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
আরও পড়ুন: চাকতেঁতুলে যুব একাডেমীর উদ্যোগে শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
লাবিদ শাফির অভিযোগ, ‘ প্রতিটি নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শুধু মাত্র বিগত এক বছরের মধ্যে পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং বিগত কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হওয়ার ফলে তৈরি হওয়া শূন্যপদগুলিকে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সংযুক্ত করা হচ্ছেনা। ফলত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নিয়মিত বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এছাড়া সারা দেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যার তুলনায় মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপের অধীন শূন্যপদ বা আসন সংখ্যা মাত্র এক হাজার। আমাদের দাবি প্রতিবছর এই আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নূন্যতম পাঁচ হাজার করতে হবে।
ইসলামী ছাত্র সংগঠনটির আরও দাবি করেন,” বিগত বছরের যে সব আসনে বা পদে বৃত্তি প্রদান করা হয়নি সেইসব পদ বা আসনগুলিকে সংযুক্ত করতে হবে এবং যে কোন বছরে পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। সেই সঙ্গে মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ এবং রাজীব গান্ধী ন্যাশনাল ফেলোশিপে আবেদনের জন্য ইউজিসি-নেট পাশ করার বাধ্যতামূলক নিয়ম তুলে দিতে হবে”।