যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: খব শিগগিরই
যুদ্ধবিধ্বস্ত কার্গিলে এবার বল পায়ে মাঠ কাঁপাবে তরুণরা, অপেক্ষা শুধু
ফেডারেশনের স্বীকৃতির। গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। গঠিত হয় লাদাখ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এলএফএ)। তারপর থেকেই ফুটবল সংক্রান্ত নানা কার্যকলাপের শুরু। ফেডারেশন সূত্রে খবর, তাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় এলএফএ সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয়ে যাবে।
দিল্লি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাজি প্রভাকরণ তাঁর টুইটারে কার্গিল উপত্যকায় তরুণদের বল নিয়ে দাপাদাপির কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, লাদাখ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের কাছে নথিভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে।
এলএফএ–র সচিব সারিং অ্যাংমো জানালেন, ইতিমধ্যেই কার্গিলে চারটি ক্লাবের ফুটবলাররা অনুশীলন শুরু করেছেন। লে–র মাঠো গ্রামে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও ফুটবলের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সারিং অ্যাংমোর ফুটবলের প্রতি ভালবাসা দেখে এআইএফএফ কর্তারাও বেশ খুশি। সারিং জম্মু ও কাশ্মীর স্পোর্টস কাউন্সিলের ইনচার্জ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। বললেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট ফুটবল অ্যাকাডেমি হল লাদাখের প্রথম পেশাদার ফুটবল অ্যাকাডেমি। ফুটবলের প্রসার ঘটাতে এই অ্যাকাডেমি অনেক সাহায্য করেছে।
কাশ্মীরের ফুটবলার মেহরাজভাই (মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু), ইসফাকভাই (ইসফাক আহমেদ) আমাদের দারুণ সাহায্য করছে। সরকার, প্রশাসনের সাপোর্টও পাচ্ছি।’ জম্মু–কাশ্মীরের মহিলা দলের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা সারিং বলেন, ‘আই লিগে খেলা রিয়েল কাশ্মীর হল আমাদের প্রেরণা। ওরা যদি ফুটবলে এই জায়গায় পৌঁছোতে পারে, তাহলে আমরাও পারব।’