
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার পশ্চিমবঙ্গ দলিত সাহিত্য আকাদেমির প্রথম সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হল কলকাতার শিশির মঞ্চে। এদিন উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা মেরুনা মুর্মু। সেই সঙ্গে সভায় সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমবঙ্গ দলিত সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি মনোরঞ্জন ব্যাপারী ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সচিব পিয়ালী সেনগুপ্ত সাহিত্য আকাদেমি সদস্যসচিব বাসুদেব ঘোষ। সভায় প্রায় অর্ধশত দলিত কবি, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন লোককবি উত্তম সরকারের আম্বেদকরকে নিয়ে রচিত একটি সংগীতের মাধ্যমে জীবনের গল্প, দলিতের বঞ্চনা এবং এই বঞ্চনা থেকে উত্তরণের উপায় প্রদর্শিত হয়। সাহিত্যিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ভারতীয় ভাষা সাহিত্যের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মৃন্ময় প্রামানিক, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কল্যাণ কুমার দাস, নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীমন্ত বিশ্বাস, বিশিষ্ট কথাশিল্পী তৃপ্তি সান্ত্রা, মনোহর মৌলি বিশ্বাস প্রমুখ। ডলির জীবনের গল্প শোনান শ্রী অধীর বিশ্বাস, যা এই সভাকে নতুন মাত্রা দান করেছে।
এছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যক বিকাশ সরকারের কবিতা এই সাহিত্য সভাকে নতুন দিক দেখিয়েছে। উদ্বোধনী ভাষণে মনোরঞ্জন ব্যাপারী দলিত সাহিত্যের নানা দিক তুলে ধরেছেন এবং সভা থেকে যে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তা হলো দলিতজীবনের নানা বাধা-বিপত্তি আছে, থাকবে ও ছিল। কিন্তু তার পরেও তাকে অতিক্রম করতে হলে সকলকে একসুরে বেঁধে রাখতে হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দলিত সাহিত্যিক ডক্টর আশিস হিরা। উত্তম সরকার-এর সমাপনী সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।