গ্রামীন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অন্ডালে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের উদ্বোধন

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: বিশ্বজুড়ে নভেল করোনার কামড়। দেশজুড়ে সংক্রামক ঠেকাতে চলছে লকডাউন। চতুর্থ দফায় শীথিল হলেও বাড়ছে বেকারত্ব। বাড়ি ফিরছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। নতুন করে গ্রামীন কর্মসংস্থানের লক্ষ্য রাজ্যে চালু হল ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প। সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের কাজোড়া পঞ্চায়েত প্রায় ২০ একর জমির ওপর প্রজেক্টের উদ্বোধন হল। কৃষিভিত্তিক ওই প্রকল্পে খুশী এলাকাবাসী।
কি থাকছে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে। জানা গেছে, মুলত উদ্দেশ্য অনুর্বর জমিকে উর্বর করে আর্থসামাজিক উন্নত করা। জমিটিকে আয় বৃদ্ধি উপযোগী করা। প্রকল্পে থাকবে কৃষি, উদ্যান পালন, এনআরইজিএস প্রকল্পের কাজ। সেচের ব্যাবস্থা করা। সারা বছরই চাষ, উদ্যান পালন হবে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জেলার সালানপুর, জামুড়িয়া, বারাবনি, কাঁকসা সহ ৭ ব্লকে প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। এমজিএনআরইজিএস মাধ্যমে প্রায় ৭০-৮০ হাজার শ্রমদিবস তৈরী করা হবে। পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক পুর্নেন্দু মাজি বলেন,” সারা বছরই চাষ হবে। অর্থকারী ফসল চাষ হবে। গ্রামীন কর্ম সংস্থান তৈরী করা। প্রকল্পে কৃষি, উদ্যান পালন, মৎস্য দফতর ও এমজিএনআরজিএস দফতরের কর্ম নিযুক্তি থাকবে।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় মৃত আরও ২২, আক্রান্ত ২৩৮১
অন্ডালের কাজোড়ার ২০ নং সংসদ এলাকায় এমনই একটি জমিকে সম্প্রতি চিহ্নিত করেছে ব্লক প্রশসান। সোমবার প্রায় ২০ একর ওই জমিতে প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান এডিএম (জেনারেল) শুভেন্দু বসু, দুর্গাপুর মহকুমাশাসক অনির্বান কোলে, অন্ডাল বিডিও ঋত্বিক হাজরা প্রমুখ। জানা গেছে, ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে থাকবে গম, ভুট্রা, ডাল জাতীয় শস্য চাষ। থাকবে সিঙাপুরী কলা বাগান, আরবীয়ান খেজুর, নারকেল গাছ ছাড়াও অর্থকারী ফলের চাষ।
এদিন অন্ডাল বিডিও ঋতিক হাজরা বলেন,” এখন এনআরইজিএস প্রকল্পে জমি পরিস্কার, বেড়া দেওয়ার কাজ হবে। জলাশয় তৈরী হবে দুটি। সেখানে সেচের সুবিধার পাশাপাশি মৎস্য চাষ হবে। প্রকল্পে, ৪ হাজার কলা গাছ, ৬০০ পেঁপে, সেলারিয়াক ৪০০ চারা, ৬০০ পেয়ারা, ৫০০ কেরালিয়ান নারকেল, ৫০০ আরবিয়ান খেজুর, ৩ হাজার নিম, ৬০০ কাঁঠাল গাছ লাগানো হবে।” যদিও কাজোড়া এলাকায় সুস্বাদু আমের বাগান ও অর্জুন গাছ লাগিয়ে তসর চাষে নজির রয়েছে। নতুন করে মাটির সৃষ্টি প্রকল্প চালু হওয়ায় খুশী এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,” গ্রামের মানুষ সারা বছরই কাজ পাবে। আর্থ সামাজিক উন্নতি হবে।”