চরম মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত! লাদাখে ভারতের T90 ট্যাঙ্ক, ভারত মহাসাগরে মার্কিন ফ্লিট, বেকায়দায় বেজিং

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের মতো উত্তেজনার পরিস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে লাদাখে। গালওয়ান ভ্যালি সংঘাতের পর চিনকে বিশ্বাস করতে নারাজ ভারত। তাই কোন রকম ঝুঁকি নিতে চায় না সেনাবাহিনী ও। সেইমতো কৌশলগত স্বার্থে চিনের মোকাবেলায় এবার বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্যাঙ্ক শক্তিশালী T-90 কে লাদাখে মোতায়েন করল ভারত।
এদিকে, সূত্রের খবর মে মাস থেকেই সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করছিল চিন। একইঙ্গে ভারত বারবারই বলে আসছিল, এলএসি থেকে একশো কিলোমিটার দূরে তিব্বতে একটি রানওয়ে তৈরি করছে চিন। পাশাপাশি সেখানে ফাইটার জেটও মোতায়েন করেছে।অন্যদিকে, চিনের হাতে রয়েছে T-95 ট্যাঙ্ক। এই ট্য়াঙ্কের ক্ষমতা প্রায় T-90 ট্যাঙ্কের মতোই। ফলে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়লই বলা যায়।
কতটা শক্তিশালী এই T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্ক?
- ভারতের প্রধান ব্যাটল ট্যাঙ্ক এটি। অত্যন্ত শক্তিশালী।
- রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র প্রতিরোধী এই ট্যাঙ্ক।
- মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৮টি শেল ফায়ার করতে পারে এই ট্যাঙ্ক।
- প্রধান কামানের মাপ ১২৫ এমএম।
- ৬ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত মিসাইল ছুঁড়তে পারে।
- দুনিয়ার সবচেয়ে হালকা ট্যাঙ্ক। ওজন ৪৮ টন।
- রাত ও দিন লড়াই করতে পারে।
- ১০০০ হর্স পাওয়ার ইঞ্জিন রয়েছে এই ট্যাঙ্কে।
- মিসাইল প্রতিরোধ করতে পারে।
- ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে।
- টানা ৫৫০ কিলোমিটার চলতে পারে।
- মনে করা হয় দুনিয়ার অন্যতম শক্তিশালী ট্যাঙ্ক এটি।
- অন্যদিকে
- চিনের তুলনায় ভারতের হাতে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বেশি রয়েছে।
- ভারতের কাছে রয়েছে ৪২৯২টি ট্যাঙ্ক। চিনের ৩৫০০ টি।
উল্লেখ্য ভারতের সঙ্গে সংঘাতের জেরে এবার দক্ষিণ চিন সাগরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার রাতে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মাইক পম্পেও। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় চীন যে বাড়বাড়ন্ত শুরু করেছে তাকে প্রতিরোধ করতেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম সহযোগী। তাই তো কিসের পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে যায় সে কারণে ইতিমধ্যে ইউরোপের জার্মানি থেকে প্রায় ২৫ হাজার সেনা তুলে নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মোতায়েন করতে চলেছে ওয়াশিংটন ডিসি। ভারত-আমেরিকার কৌশলগত সহযোগিতা বা স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কারোরই অজানা নয়। তাই জটিল পরিস্থিতিতে মৃত্যু রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াতেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ এবং যার ফলে চিনকে যথেষ্টই বেকায়দায় পড়তে হবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।