ঢাকাকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরে সহযোগিতার প্রস্তাব ভারতের
বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
যুগশঙ্খ প্রতিবেদন, ঢাকা: বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এ অবস্থার উন্নতির জন্য আপ্রাণ কাজ করছে শেখ হাসিনার সরকার। ঢাকাকে স্মার্ট সিটিতে রুপান্তরে কাজ করা হচ্ছে। হাসিনা সরকারের সেই চেষ্টায় সহযোগিতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত সরকার।
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে ভারতের প্রস্তাব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে রুপান্তরে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ সময় একটি লিখিত প্রস্তাবনার অনুরোধ করেন। প্রত্যুত্তরে ভারতীয় হাইকমিশনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানান।
বৈঠকে মশক নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ মৌলিক সেবা কার্যক্রমের দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধনে নেতৃত্ব দেয়ায় ভারতের হাইকমিশনার কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে অভিনন্দন জানান।
এদিকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বস্ত্র ও পাট খাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন হোক-এমনটা চায় ঢাকা-দিল্লি। এ লক্ষে দু’দেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং ভারতে বস্ত্র ও পাটখাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ ঘটাতে চায় বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ঢাকার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অহিংস ও শান্তিপূর্ণ নীতি সম্পর্কে প্রচার, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা-সহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ভারত আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। সেজন্য ভারত বস্ত্র ও পাটখাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটাতে চায়।
সাক্ষাৎকাল বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ভারতীয় হাইকমিশনারকে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপাদিত হয় এবং পাট থেকে এখন উচ্চমানের ও আকর্ষণীয় বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, যার কেবল সামান্য পরিমাণ ভারতে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো অধিক পরিমাণে বহুমুখী পাটজাত পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে চায়। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টেক্সটাইল ফোরামের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।