জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ত্যাগ স্বীকারের কথা ভারত ভুলবে না: প্রধানমন্ত্রী মোদি
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জরুরি দিনগুলিতে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যাঁরা ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন ভারত তা ভুলবে না,’ ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এদিন এইভাবে শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪৫ বছর আগে সেইদিনগুলিতে দেশের জন্য মানুষ যেভাবে আত্মত্যাগ করেছিল ভারত সেই ত্যাগের কথা মনে রাখবে।
आज से ठीक 45 वर्ष पहले देश पर आपातकाल थोपा गया था। उस समय भारत के लोकतंत्र की रक्षा के लिए जिन लोगों ने संघर्ष किया, यातनाएं झेलीं, उन सबको मेरा शत-शत नमन! उनका त्याग और बलिदान देश कभी नहीं भूल पाएगा। pic.twitter.com/jlQVJQVrsX
— Narendra Modi (@narendramodi) June 25, 2020
প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটে বলেন, ‘৪৫ বছর আগে ভারতে এই দিনটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। যারা ভারতের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে সংগ্রাম করেছেন, নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি’।
আরও পড়ুন:নাগাল্যান্ডে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত ১২ জন সেনা জওয়ান
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে ২৫ জুন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন। সেই অবস্থা জারি থাকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত।
অন্যদিকে এদিন জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
অমিত শাহ টুইটে বলেন, জরুরি অবস্থা জারির পিছনে একটি পরিবারের স্বার্থ দল ও জাতীয় স্বার্থের উপর প্রাধান্য পেয়েছে। এই দিনে, ৪৫ বছর আগে এক পরিবারের ক্ষমতার লোভ দেশের মানুষের ওপর জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দেয়। রাতারাতি দেশটিকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। প্রেস, আদালত, বাকস্বাধীনতা, সব পদদলিত হয়েছিল। দরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার করা হয়েছিল’।
As one of India’s opposition parties, Congress needs to ask itself:
Why does the Emergency mindset remain?
Why are leaders who don’t belong to 1 dynasty unable to speak up?
Why are leaders getting frustrated in Congress?
Else, their disconnect with people will keep widening.
— Amit Shah (@AmitShah) June 25, 2020
পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, কংগ্রেস একটি ক্ষমতালোভী দল। কংগ্রেস সরকার ৪৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে জনগণের অধিকার হরণ করেছিল। কিন্তু যখন এই দলটি এখন গণতন্ত্রের বিষয়ে কথা বলে তখন শুনতে খারাপ লাগে। সেইসময় সরকারে থাকা কংগ্রেসের ডাকা জরুরি অবস্থা গণতন্ত্রকে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জে সামনে দাঁড় করিয়েছিল।