fbpx
দেশহেডলাইন

সাধুদের হত্যা করে মহারাষ্ট্রে সনাতন ধর্মকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে একজোটে আন্দোলন করবে ভারতীয় সাধু সমাজ: শঙ্করাচার্য

ইন্দ্রাণী দাশগুপ্ত , নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে একের পর এক সাধু হত্যা সনাতন ধর্মকে শেষ করে দেওয়ার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বলে তোপ দাগলেন শঙ্করাচার্য শংকরাচার্য সারদা পীঠ। তিনি আরো বলেন সনাতন ধর্ম থেকেই সমস্ত ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে। সনাতন ধর্ম ই একমাত্র আদি ধর্ম । কিন্তু নতুন বহু ধর্মমত দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে সনাতন ধর্মকে শেষ করে দেওয়ার ।যেহেতু মহারাষ্ট্রে এখন উদ্ভব ঠাকরের মতো একজন দুর্বল মুখ্যমন্ত্রী আছেন এবং একটা খিচুড়ি সরকার চলছে তাই সেখানে খুব সহজেই হিন্দু সাধু হত্যা করে সনাতন ধর্মকে চোখ রাঙানোর প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করা হয়েছে ।

সারাদেশের সাধু সমাজ এর তীব্র প্রতিবাদ করছে এবং লকডাউন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মহারাষ্ট্র সরকারের হুঁশ ফেরানোর জন্য তৈরি হচ্ছে। তিনি এই দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন এখন সময় এসে গেছে যে এক মহা আন্দোলনের মাধ্যমে হিন্দু সাধু সমাজ এই দুষ্কৃতীদের বোঝাবে হিন্দু সাধুদের গায়ে হাত দেওয়া কতখানি মারাত্মক ।

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, মহারাষ্ট্রের পালঘরে গণপিটুনিতে দুই সাধুর মৃত্যু হওয়ার পর সেই ঘটনাকে প্রথমেই  সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া না হলেও সারাদেশের সাধু সমাজ যখন এর প্রবল বিরোধিতা শুরু করে তখন তখন তাদের চাপে পড়ে মহারাষ্ট্র সরকার  অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়েছিলেন ।কিন্তু পালঘর এর ঘটনা যে মহারাষ্ট্র প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গাতে পারেনি তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল মহারাষ্ট্রের নন্দেদ জেলায় তেত্রিশ বছরের সাধু শিবাচারিয়া পশুপতিনাথ এবং তার এক সহকারি হত্যা । এক্ষেত্রেও মহারাষ্ট্র পুলিশ ডাকাতির জন্য হত্যা বললেও সেটা মানতে নারাজ শংকরাচার্য ।তিনি বলেন আসলে মহারাষ্ট্রে উদ্ভব ঠাকরে একজন অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পুলিশ হলো খাঁচায় আটকানো তোতা  পাখি।  যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য উদ্ভব  ঠাকরে এমন সব দলের সাথে হাত মিলিয়েছেন যারা বরাবরই সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এই ধরনের ঘটনা গুলোকে চেপে রাখার চেষ্টা করেছে ।

যাদের শাসনকালে  দেশে নির্বিবাদে অন্য ধর্মের  মানুষেরা  হাজারে হাজারে সংখ্যায় বেড়েছে  আর হিন্দুদের উপর নির্যাতন করে গেছে। আর তৎকালীন সরকার শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করার জন্য সব রকম ভাবে তাদের সহযোগিতা করে গেছে যার ফলে আমাদের দেশে ধীরে ধীরে অন্য ধর্মের মানুষদের সংখ্যা বেড়েছে আর আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মের মানুষেরা কোণঠাসা হয়েছে। কিন্তু একের পর এক সাধুদের এইভাবে হত্যা কোনভাবেই মেনে নেবে না দেশের সন্ত সমাজ ।

লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে দেশের সমস্ত সাধুরা একযোগে এই অযোগ্য এবং হত্যাকারী দের প্রশ্রয় দেওয়া সরকার গুলোর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে এক মহা আন্দোলন গড়ে তুলবে। কারণ এখন সময় এসেছে যে এই দুষ্কৃতীদের বুঝিয়ে দেওয়ার যে দেশের সাধু সমাজ সংসার ত্যাগ করে সেবাধর্মী নিজেদের দীক্ষিত করলেও তারা প্রয়োজন হলে নিজেদের ধর্মকে রক্ষা করার জন্য আরো একবার পরশুরাম হয়ে উঠতে পারে। এবং তার ফলে আরো একবার বিশ্বের মাঝে প্রমাণ হয়ে যাবে সনাতন হিন্দু ধর্মের সাধুদের ক্ষমতা ও গৌরব। কারণ এই মুহূর্তে যদি এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে থামানো না যায় তাহলে পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশে যেমন জোর করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে তেমনি  আমাদের দেশেও একদিন অন্য ধর্মের রাজত্ব চলবে । আর আমরা ভয় পেয়ে মেয়ে বউদের সম্মান রক্ষার জন্য প্রাণ বাঁচানোর জন্য  ধর্মান্তরের হাত থেকে বাঁচার জন্য পাকিস্তান বাংলাদেশের হিন্দুদের মত অন্য দেশে পালিয়ে যাবার রাস্তা খুঁজবো  ।

Related Articles

Back to top button
Close