ঝাড়গ্রামের আদিবাসী হতদরিদ্র পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিল- বিজিটিএ!

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা মহামারীতে লড়াইয়ের জন্য এগিয়ে এসেছে বিজিটিএ। শিক্ষক সংগঠন হিসাবে সরকারের ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছে। ইতি মধ্যে বিভিন্ন জেলার আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজিটিএ তার সীমিত সামর্থ নিয়ে। গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরি শিক্ষকদের দুই দশকেরও বেশি সময়ের বেতন বঞ্চনা এবং নিজেদের সম্মান অর্জনের জন্য বিজিটিএ দীর্ঘ ২বছর ধরে লড়াই করে চলেছে। শুধু এতেই সীমাবদ্ধ নয় বিজিটিএ র কর্মকান্ড।
এবার বিজিটিএ ঝাড়গ্ৰাম জেলার পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বেলপাহাড়ী ব্লকের বাঁশপাহাড়ী অঞ্চলের দুটি জড়ডাঙ্গা ও আগুইগোড়া গ্ৰামের একেবারে হতদরিদ্র শবর ও ভূমজ সম্প্রদায়ের একশত পরিবারকে আজ সকাল ১০.৩০ নাগাদ বৃষ্টি মাথায় নিয়েও ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলেন জেলা বিজিটিএ সভাপতি শুভেন্দু শেখর সাহা ও জেলার অন্যতম সদস্যবৃন্দ ভূপতি দে,সত্যবান মন্ডল,সাগর মন্ডল ও ভবতোষ মাহাত। জেলা সভাপতি জানান-“আমরা গত রবিবার ঝাড়গ্ৰাম থেকে গিয়ে ঐ গ্ৰামগুলিতে পৌঁছে নিজেরাই সমস্ত দিন ঘুরে ঘরে ঘরে যথার্থ ঐ ব্যক্তিদের হাতে ত্রাণের কূপন বিলি করেন।যাতে প্রকৃত হত দরিদ্র পরিবারের কাছে আমরা ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারি। এইটাই হচ্ছে বিজিটিএ সংগ্ৰামী শিক্ষকদের মহান ব্রত” । জেলার তরফে শিক্ষক মনোজ বাবু বলেন রাজ্য সরকারের উচিত আমাদের আইনি দাবিকে অবিলম্বে মান্যতা দেওয়া।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল…সর্ষের তেল- ৫০০গ্রাম মুসুর ডাল- ৫০০গ্রাম, সোয়াবিন এর প্যাকেট, একটি সাবান, লঙ্কা গুঁড়োর প্যাকেট, হলুদ গুঁড়োর প্যাকেট, আলু- ১ কিলো, পেঁয়াজ- ১কিলো,বিস্কুটের প্যাকেট ১টি। সংগঠন এর রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য জানান- “বিজিটিএ এক অনন্য শিক্ষক সংগঠন যা মানবিকতার পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের দাবি আদায়ে দৃঢ় ভাবে সংগ্রাম করে চলেছে। দাবি না মানা হলে আমরা শীঘ্রই রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। বিজিটিএ র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন-” প্রতিটি জেলায় জেলায় আমাদের এই ভাবে ত্রান কর্মসূচি চলতে থাকবে”