মধ্যাহ্নভোজনের পর মুখ মুছিয়ে দিলেন আদিবাসী মহিলা, ‘মা কা প্যায়ার’ বললেন অমিত শাহ

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১-এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রণনীতি সাজাতে বাংলায় পা রেখেছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে মধ্যাহ্নভোজ সারতে আদিবাসী গ্রাম চতুরডিহিতে হাজির হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই গ্রামের বাসিন্দা আদিবাসী বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে ঢোকার মুখে পরিবারের মহিলারা তাঁকে বরণ করে নেন। এরপরেই স্লোগান ওঠে, ‘বন্দেমাতরম’।
তাঁর জন্য একাধিক নিরামিষ পদের ব্যবস্থা এদিন করে রেখেছিলেন হাঁসদা পরিবার। তবে খাওয়াদাওয়া শেষে উপরি পাওনা হিসেবে যে তিনি ‘মায়ের ভালবাসা’ও পাবেন তা হয়তো ভাবেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন তাঁকে ওই মাটির বাড়ির দাওয়ায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়কে পাশে নিয়ে কলার পাতায় পাত পেড়ে খেলেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: ‘মহামারী আইন ভাঙছে একটি রাজনৈতিক দল’, বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
ছিল এলাহি আয়োজন। মেনুতে ছিল ভাত, রুটি, বিউলির ডাল, আলুভাজা, আলুপোস্ত, পোস্তর বড়া, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি ইত্যাদি। অনেকক্ষণ ধরে বেশ আয়েশ করেই খান তিনি। ২–৩টি রুটির পাশাপাশি হাত দিয়ে মেখে ভাতও খান। তবে মিষ্টি অর্থাৎ বাংলার রসগোল্লা এদিন খাননি বর্ষীয়ান ওই রাজনীতিবিদ।
খাওয়া–দাওয়া শেষে হাত ধুইয়ে দেওয়ার পর তোয়ালে এগিয়ে দেন গ্রামের এক আদিবাসী মেয়ে। অমিত শাহকে নিজে হাত মুছতে দেখে ওই তরুণী খুব সরলভাবে বলেন, ‘দাও আমি মুছিয়ে দিই।’ এর পরই তিনি তোয়ালে দিয়ে যত্ন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ও মুখ মুছিয়ে দেন। হিন্দিতে তিনি বলে ওঠেন, ‘মা কা প্যায়ার’ অর্থাৎ ‘মায়ের ভালবাসা’।