fbpx
গুরুত্বপূর্ণদেশহেডলাইন

ভারতকে বন্ধুত্বের বার্তা ফিলিপিন্সের, দক্ষিণ চিন সাগরে আরও শক্তিশালী হবে ইন্ডিয়ান নেভি

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্কঃ লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর উত্প্ত এশিয়ার রাজনীতি। লাদাখের গালওয়ান ভ্যালীতে দু-পক্ষের সংঘর্ষ হলেও কিন্তু এর আচ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায়। যার ফলে ওই এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ ফিলিপিন্স এবার ইঙ্গিত দিল চিনের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর। দক্ষিণ চিন সাগরে বহুদিন থেকেই চিনের আগ্রাসনের শিকার ম্যানিলা। তাই গালওয়ান সংঘর্ষকে ইস্যু করে তাই চিনের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়ানো দক্ষিণ চিন সাগরে নয়াদিল্লির অবস্থানকে আরও জোরদার করবে বলেই মনে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকমহল। দুতার্তে সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সাউথব্লক।

সম্প্রতি ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে ফিলিপিনো নৌবাহিনীর অতি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল গত মিত্রতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সেদেশের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল জিওভানি বোকার্দো। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারত মহাসাগরে দু’দেশের ন্যাভাল এক্সারসাইজ চলাকালীন ইঞ্জিনে অগ্নিকান্ডে আহত হন দুই ফিলিপিনো নৌ অফিসার। সেইসময় তাদেরকে কোচিন ও পরবর্তীতে ব্যাঙ্গালুরুতে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয় ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে। সেই বিষয়ে কৃতজ্ঞতাও জানানো হয় দুতার্তে সরকারের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরে ফিলিপিন্সের একটি জাহাজকে ডুবিয়ে দেওয়া নিয়ে  চরমে ওঠে বেজিং-ম্যানিলা সম্পর্ক। চিনা আগ্রাসন , অবৈধ দ্বীপদখলদারি সব কিছু নিয়েই বিগত কয়েক বছরে উত্তপ্ত ওই দু-দেশে র সম্পর্ক। যদিও এমন ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই  নৌবহর মোতায়েন শুরু করেছে আমেরিকা। এলাকায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পিছিয়ে নেই ভারতও। ভিয়েতনামের পাশাপাশি ফিলিপিন্সও নৌ-কৌশলগত অবস্থান দৃঢ় করেছে নয়াদিল্লিও। এবার গালওয়ান প্রশ্নে ভারতের প্রতি ফিলিপিন্সের এই বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা ইন্ডো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নয়াদিল্লিকে যে ইতিবাচক অবস্থানে রাখবে এমনমত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকমহলের।

 

 

Related Articles

Back to top button
Close