Mosad’র অপারেশনে হত আল-কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড, দাবি মার্কিন মিডিয়ার

নিউইয়র্ক, সংবাদ সংস্থা: আল-কায়েদার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবদুল্লাহ আহমেদ আবদুল্লাহ ওরফে আবু আহমেদ আল-মাসরিকে ইরানে হত্যা করেছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচরেরা। গত আগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশেই ইজরায়েল গোপন এই হামলা চালায়। গত শুক্রবার এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু মুহাম্মাদ আল-মাসরি নামেও পরিচিত ওই উগ্রবাদী নেতাকে গত ৭ আগস্ট তেহরানের রাস্তায় দুজন মোটরসাইকেল আরোহী গুলি করে হত্যা করে। তবে, মিশরীয় বংশোদ্ভূত এই উগ্রবাদীকে হত্যার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্রের খবর, শুধু আল-কায়েদার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেতা মাসরি নন, তার সাথে তার মেয়েকেও হত্যা করা হয়েছে, যিনি এই সংগঠনের প্রাক্তন প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের বিধবা স্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তারপরেও এখনও পর্যন্ত আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘোষণা দেয়নি আল কায়েদা। এমনকি, ইরানি কর্মকর্তারাও এটি প্রকাশ করেননি এবং কোনো সরকার প্রকাশ্যে দায় স্বীকার করেনি।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আহমেদ আব্দুল্লাহ নামে আল কায়েদার ওই শীর্ষ নেতা ১৯৯৮ সালে আফ্রিকায় অবস্থিত দুটি মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিল। তাকে আল কায়েদার বর্তমান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহরির উত্তরসূরী বলে মনে করা হয়। যিনি ২০০৩ সাল থেকে ইরানের ‘হেফাজতে’ ছিলেন এবং ২০১৫ সাল থেকে তেহরানের একটি শহরে বসবাস করছিলেন। তবে, এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি মার্কিন সরকার।