হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব কে পেল তাতে ইরানের কিছু যায় আসে না: জারিফ

তেহেরান, সংবাদ সংস্থা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে সারাবিশ্বে যখন জোরচর্চা চলছে, তখন অনেকটা ‘সেফ-ফাইড’ অবস্থান নিয়েছে ইরান। ট্রাম্প না বাইডেন, কাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চাইছে ইরান, তা নিয়েও মুখ খুলতে রাজি নয় তেহেরান। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের বিদেশ মন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা এখন কে কি প্রতিশ্রুতি দিল তা তেহরানের জন্য মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং নির্বাচনের পর হোয়াইট হাউস কি আচরণ করে সেটিই মূলত দেখার বিষয়।’
এরপর ‘রিভার স্যুইপ’ ভঙ্গিতে জারিফ বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পবা জো বাইডেনের মধ্যে ইরান কাউকেই প্রাধান্য দিচ্ছে না। কেননা, আমেরিকা যদি ইরানের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা হবে তেহরানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব কে পেল তাতে ইরানের কিছু যাবে আসবে না।’ আর পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আলোচনা? বিদেশ মন্ত্রী জারিফের সাফ কথা, ‘ইরান তার পরমাণু সমঝোতানিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আরেকবার আলোচনা করবে না। জো বাইডেন ভালো করে জানেন তিনি নির্বাচিতহলেও ইরান পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আরেকবার আলোচনায় বসবে না।’ এরপরেই, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ উঠতেই জারিফের জবাব, ‘এসব নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষতি হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমেরিকা ইরানে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন চেয়েছে সেটি সে করতে পারেনি।’
কিন্তু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছেবলে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) দাবি করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যের ভোটারদের তথ্য হ্যাক করেছে বলে ইরানি হ্যাকারা। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগের জবাবে জারিফ বলেন, ‘ট্রাম্প হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমেরিকার নির্বাচনি ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ এবং এই ব্যবস্থার চরম অবমাননা করছেন।’