জনগণকে ভুল বুঝিয়ে মন জয় করা সম্ভব নয়, তৃণমূলকে একহাত জগন্নাথের

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর: জগগণ থেকে বিচ্ছিন্ন তৃণমূল কংগ্রেস, বাজারের কিছু বুর্জোয়া কাগজ এবং চ্যানেলের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। জগন্নাথ বাবু আরও বলেন, বিজেপি ভারত তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস কিংবা এ রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের মতো পরিবার তান্ত্রিক দল নয়। বিজেপি দলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কর্মসূচি রূপায়িত হয়ে থাকে। তৃণমূলের মতো স্বৈরাচারী, হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয় না। বিজেপি শৃঙ্খলা পরায়ণ রাজনৈতিক দল। ফলে চক্রান্তকারী তৃণমূলের দালালরা মানুষ কে ভূল বুঝিয়ে, বুর্জোয়া কাগজ কিংবা চ্যানেল কে ব্যবহার করে সাময়িক বাজার গরমের খেলায় মেতে উঠতে সক্ষম হলেও মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। রাজ্যের মানুষের সঙ্গে ছলচাতুরি সহ সীমাহীন অত্যাচার কোন অবস্থাতেই বরদাস্ত নয়। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ই এর জবাব পাবে এ রাজ্যে নেরাজ্য সৃষ্টিকারী শাসক তৃণমূল কংগ্রেস।
জগন্নাথ বাবুর আরও অভিযোগ বিজেপি, তৃণমূলের মতো আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল নয়, সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল, প্রতিনিয়ত সদস্য-সদস্যা সংখ্যা বাড়ছে। আর পরিবার বড়ো হলে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হতেই পারে এবং এটাই একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কাছে স্বাভাবিক ঘটনা। জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি তে শঙ্কিত রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আতঙ্ক থেকেই ভূলভাল বকছে। এদের সাধ দিচ্ছে বাজারের কিছু বুর্জোয়া কাগজ ও চ্যানেল।
এক সাক্ষাৎকারে নদীয়া উত্তরের প্রাক্তন সাংগঠনিক সভাপতি তথা বর্তমান বিজেপি র কৃষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার জানালেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল এখন দিশেহারা। জেলায় তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সহ বিধায়কেরা দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছে না। জেলার প্রতিদিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট আকার ধারণ করে চলেছে। সে সক্রিয় নেতা কর্মীগণ বিজেপি তে এসে নাম লেখাচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মহাদেব বাবুর পরামর্শ, অন্যদলের দিকে নজর না দিয়ে, নিজেদের দলের ফাঁক ফোকর সহ গোষ্ঠী কোন্ডল আগে মিটিয়ে তার পর আদর্শবাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি কে নিয়ে কথা বলুন। যাকে নিয়ে এত অভিযোগ,নদীয়া উত্তরের বিজেপি র সাংগঠনিক সভাপতি আশুতোষ পাল।
ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানালেন, আসন্ন ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস,হেরে যাওয়ার ভয় এবং আতঙ্ক থেকেই আবোলতাবোল বকছে। বিজেপি তে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই। মোদিজীর নেতৃত্বে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস কর্মসূচি রূপায়নের মধ্যদিয়ে নতুন ভারত গড়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এখানে ব্যাক্তি নয়, দলই শেষ কথা।