অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়,কলকাতা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের টুইট বিদ্যুৎ সংযোগ চালু সত্ত্বেও বিদ্যুৎ নেই দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায়। ইতিমধ্যেই ৯৬ ঘন্টা কেটে গেছে পুরসভা ও সিইএসসি তরযায়। সাধারণ মানুষ এখন ও অন্ধকারে। নেই পানীয় জল। বিদ্যুত ও পানীয় জলের দাবিতে শনিবারও উত্তাল ছিল দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, লায়লকা বাঘাযতীন এলাকা। দীর্ঘ চারদিন ধরে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন থাকায় প্রতিবাদে এলাকা বাসি এদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন। সকাল ১১ টা থেকে একই রকম ভাবে সন্ধ্যে পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয় নি। এলাকা বাসির দাবি স্থানীয় কাউন্সিলার থেকে বিধায়ক, সিইএসসি ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হলেও অসহায় মানুষ গুলির করুন অবস্থা কোন পক্ষই দূর করতে পারেনি। প্রায় ১৫০ টি পরিবার এই মুহুর্তে বিদ্যুতহীন ভাবে রয়েছে।
আমফান কেটে গিয়েছে ৪দিন হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সুরাহা হয়নি শহরের বহু জায়গায়। বাঘাযতীন, শ্রী কলোনি, নেতাজি নগর সহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। টানা চারদিন ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থেকে তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তাঁরা নেমে এসেছেন রাস্তায়। দেখাচ্ছেন বিক্ষোভ। বাঘাযতীন মোড়ে অবরোধকারীদের হঠাতে পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকলেও, তাঁরা কার্যত নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ। সেই কারণে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষজন বারবার অবরোধে বাধা পড়লেও পুলিশ তাঁদের ঠিকমতো দিক নির্দেশ দিচ্ছে না। তাতে রাস্তায় বেরিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়ছেন সাধারণ পথচারীরা। সেখানে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাম সংগঠনের বিদায়ী কাউন্সিলর দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বাধ্য হয় মানুষ পথে নেমেছেন। সিইএসসি পুরোপুরি ব্যর্থ। আমরা নিজেরা ভাড়া করে গাছ কাটার ব্যবস্থা করেছি।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা কেন্দ্রের, সোমবার থেকে বিমান চালু নয়
পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, ‘৯৮ ও ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাসক দলের হওয়ার জন্য তাঁরা জোর করে সিইএসসি কে ডেকে এনে কাজ করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের জোর করার লোক নেই বলে আমাদের এখানে এখনো বিদ্যুৎ আসেনি।’ এদিকে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এতগুলো দিন ধরে এমন একটা দৈনন্দিন সমস্যা, অথচ দেখা মেলেনি কোনও জনপ্রতিনিধির। না বিধায়ক, না ওয়ার্ডের কাউন্সিলর – কেউই এসে আশ্বস্ত করেননি। পুলিশকে জানিয়ে ও লাভ হয়নি। অন্যদিকে, নেতাজি নগরের ছবিটাও একই রকম। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের টাকা দিয়ে জেসিবি ভাড়া করে গাছ কাটার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেখানেও চারদিন পর এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। রয়েছে পানীয় জলের হাহাকারও।
এদিকে, আজকেই দুপুরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে টুইট করে জানানো হয়, দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, সেলিমপুর, টালিগঞ্জ সহ ১৫ টি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়েছে। সেই টুইটে উদ্ধৃত করা হয়েছে সিইএসসি কেও। ফলে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানো নিয়ে ধোঁয়াশা কে তৈরি করছে রাজ্য সরকার নাকি সিইএসসি?