জগদ্দলে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু না খুন? চাপানউতোর রাজনীতিক মহলে
খুনের অভিযোগ বিজেপির, কোভিড রিপোর্ট হাসপাতালের

অলোক কুমার ঘোষ, ব্যারাকপুর: জগদ্দলে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম মিলন হালদার (৪০)। বিজেপির তরফে এই মৃত্যুর ঘটনাকে খুন বলে দাবি করা হলেও আরজি কর হাসপাতাল সূত্রের খবর, মিলন হালদারের মৃত্যুর কারণ কোভিড। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ, মিলনকে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যেভাবে মারধর করেছিল, তার জেরেই পরে তার মৃত্যু হয়।
জগদ্দল গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি রঞ্জিত দত্তের অভিযোগ, শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মিলনকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে কাউগাছি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৬ নম্বর বুথ এলাকায় নর্দমার ধারে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মিলনের পরিবারের সদস্যরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে ও পরে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই বুধবার ভোর রাতে মিলনের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, “জগদ্দল থানায় এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তার কথায়, “তৃণমূল হিংসার রাজনীতি করে না।” এদিকে মৃত মিলন হালদার কোভিড আক্রান্ত ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ওই বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ বুধবার তার পরিবারকে দেয়নি। এদিকে এই ঘটনার পর মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। তিনি বলেন, “মিথ্যা করোনা রিপোর্ট তৈরি করে বিজেপি কর্মীদের খুনের ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিলন হালদারের দেহ এখনো তার পরিবারের সদস্যদের হাতে দেওয়া হল না। এভাবে কি গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়?”
মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হবেন। মৃত মিলনের কোভিড ছিল না বলে দাবি মৃতের পরিবারের সদস্যদের। তাদের কথায়, “মহাষ্টমীর রাতে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হতে আক্রান্ত হয় মিলন।” স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, মিলন হালদারের হত্যার ঘটনায় তারা আন্দোলনে নামবেন।