জগদ্ধাত্রী পুজোতে অন্নকূট সোনারপুরে, মাকে দেওয়া হয় প্রায় ৬৫০টি ভোগ

বাবলু প্রামানিক ,দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুর্গাপুজোর পর কালিপুজো। আর ঠিক তার পরই আসে মা জগদ্ধাত্রী। তবে জগদ্ধাত্রী পুজোর নাম শুনলেই চন্দনগরের বা কৃষ্ণনগর এর নাম মুখে চলে আসে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর এর বৈকন্ঠপুর এলাকার জগদ্ধাত্রী পুজো হয় দেখার মত। মায়ের পুজোয় থাকে অন্নকূট, বহু পুরানো এবং ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের পুজো। এই মহামারীর সময় মায়ের মূর্তি সুদুর রাজস্থান থেকে নিয়ে আসা হয়। এই শ্বেত পাথরের মূর্তি সাড়ে ৮ ফুট। একটি গোটা পাথর খোদাই করে এই মূর্তি তৈরি করা হইয়। আজ থেকে ৫২ বছর আগে এই পুজো শুরু হয়। বৈকন্ঠপুর সাধারন সম্মিলনির পরিচালনায় এবং এলাকার মানুষের সহায়তায় এই পুজো সুসম্পন্ন হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। মায়ের এই পুজোয় দেওয়া হয় প্রায় ৬৫০টি ভোগ।
যা অন্নকূট নামে বিশেষ পরিচিত। মায়ের এই অন্নকূট দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসেন বৈকন্ঠপুরে মায়ের এই পুজো মণ্ডপে। এই অন্নকূটে মাকে দেওয়া হয় ১৩৫ রকমের মিষ্টি। ১৫৭ রকমের বিভিন্ন পদের রান্না। ১১৭ রকমের বিভিন্ন কস্মেটিক। ৪৮ রকমের সব্জী। ৩৩ রকমের ফল-মূল
সহ বিভিন্ন রকমের স্ন্যাক্স, ১৮০ রকমের চিপস, বাদাম ও অনান্য খাদ্য। বেনারসি সমেত ১২০টি শাড়ি যা দান করে দেওয়া হবে। ১৫ রকমের আচার, ১০ রকমের চাটনি, ১৭ রকমের শাক ভাজা। মায়ের ভোগ বিতরণ প্রসাদ পাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের মন্দিরের দর্শন করে এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। মন্দিরে সমস্ত ভক্তদের মুখে একটাই কথা মা তুমি করোনা নামক অসুরকে বধ কর। আর এই পৃথিবীকে মুক্ত কর।