বিধানসভা ভিত্তিক একাধিক কর্মী বৈঠকে তৃণমূলকে বিঁধলেন জগন্নাথ

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর : রাজ্যে সুশাসন সহ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলার আকাশ থেকে তৃণমূল নামক কালো মেঘকে সরাতেই হবে। বাংলার নাগরিকবৃন্দের জীবনে সুদিন ফিরিয়ে আনতে হলে তৃনমূল নামক আবর্জনাকে সরাতেই হবে। সেই অঙ্গীকারে দলের নেতাকর্মীদের শপথ নিতে হবে,আজ শান্তিপুর গোধূলি লজে বিজেপির ২৮ নং জেলা পরিষদ মন্ডল এবং শান্তিপুর টাউন ২ নং মন্ডলের পৃথক পৃথক দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। একই গ্ৰেক্ষাগৃহে পরপর দুটি বৈঠকেই প্রধান আলোচক ছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
দুটি বৈঠকেই জগন্নাথবাবু দলীয় নেতা কর্মীদের জনসংযোগ বৃদ্ধি বিষয়ক নানা পথ নির্দেশিকা দেন। জগন্নাথ বাবু, মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প বিষয়ক সরলীকরণের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন,মরার আগে হরিনাম করে আর কাজ হবেনা।বিগত সাড়ে নয় বছর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মনে ছিল না, রাজ্যের সবার জন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করা দরকার কিংবা কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গে লাগু করা দরকার,এখন বিদায় বেলায় রাজ্যের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্প কার্যকরের কথা মনে হল, বাংলার মানুষ, মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাওতায় আর বিশ্বাস করে না,এটা নেহাতই ভোট বৈতরণী পার হওয়ার কৌশল, রাজ্যের মানুষেকে আর বোকা বানানো যাবে না, ঠিক এভাবেই রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিধলেন জগন্নাথ বাবু।