ভারতের সঙ্গে সংঘাতের ফল, জাপানি মিসাইলের পর এবার চিনের কান ঘেঁষে মার্কিন নিউক্লিয়ার ফ্লিট

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় হওয়া হিংসাত্মক ঘটনায় ভারতের ২০ জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন চিনের ৪৩ জন জওয়ানকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া বার্তার পরেও চিন লাগাতার শান্তি ভঙ্গ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে চিন সীমান্তে অশান্তি চায়না। আরেকদিকে আমেরিকা নিজেদের তিনটি পরমাণু রণতরী প্রশান্ত মহাসাগরে চিনের সীমান্তের একেবারে কাছেই মোতায়েন করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে চিনের বর্তমান সুর নরম করার প্রধান কারণ হল বর্তমানে চারিদিক থেকে আসা আন্তর্জাতিক চাপ।করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য চিনকে দায়ি করা আমেরিকা খোলাখুলি ভারতকে সমর্থন করছে এই বিষয়ে।
জানা গিয়েছে, তিন বছর পর আমেরিকা নিজেদের বিমানবাহক এবং পরমাণু রণতরী প্রশান্ত মহাসাগরে চিনের সীমান্তের একেবারে গা ঘেঁষিয়ে মোতায়েন করেছে। আমেরিকার এই পদক্ষেপকে চিনের জন্য কড়া হুঁশিয়ারি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আমেরিকা ভারতের সুরক্ষার জন্য এই রণতরী গুলোকে চিন সীমান্তের পাশে মোতায়েন করেছে। আপনাদের জানিয়ে দিই, দক্ষিণ চিন সমুদ্রে চিনের বাড়াবাড়ির কারণেই আমেরিকা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
ওই তিনটি রণতরী আমেরিকার বিখ্যাত পরমাণু ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের অংশ। ওই রণতরী গুলো হল ইউএসএস থিয়োডর রুজবেল্ট, ইউএসএস নিমিতজ আর ইউএসএস রোনাল্ড রিগন। এগুলোর মধ্যে ইউএসএস ফিলিপিন সমুদ্রের গুয়াম এলাকায় মোতায়েন থাকে। আর ইউএসএস নিমিতজ ওয়েস্ট কোস্ট এলাকা আর রোনাল্ড রিগন জাপানের দক্ষিণ ফিলিপিন সাগরে মোতায়েন থাকে। এই তিনটি রণতরী নিউক্লিয়ার মিসাইলের সাথে যুক্ত। আর চিন সীমান্তের আশেপাশে এগুলো মোতায়েন করায় ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে ড্রাগনের।
যদিও আমেরিকা আপাতর ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে সোজাসুজি নাক গলাচ্ছে না, কিন্তু চিন বারবার আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেই যাচ্ছে। চিন জানাচ্ছে যে, ভারত আমেরিকার উস্কানিতেই চিনের উপর হামলা করছে।