
শরণানন্দ দাস, কলকাতা: বিধি মেনে শিল্পীদের অনুষ্ঠানে কোন বাধা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, প্রদর্শন ও জীবন, জীবিকা সচল রাখতে মঞ্চ, আবৃত্তি, সঙ্গীত, লোকশিল্পীদের সহযোগিতা করার জন্য সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে চিৎপুর যাত্রাপাড়া। এই মুহুর্তে যাত্রা জগতের সুপারস্টার জুড়ি অনল চক্রবর্তী, কাকলি চৌধুরী, যাত্রাজগতের বিশিষ্ট নির্দেশিকা রুমা দাশগুপ্ত মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
সোমবার অনল চক্রবর্তী বলেন, ‘ আমরা সত্যি সত্যি ‘অক্সিজেন’ পেলাম। করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রাশিল্পী, কলাকুশলী সবাই চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হচ্ছে, যদিও করোনা সংক্রমণ এখনও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা নিয়ে যদি পালা করার অনুমতি মেলে সেই অপেক্ষায় ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় পর আশ্বস্ত বোধ করছি।’ তিনি জানান, ‘ কোভিডের কারণে কলকাতায় রিহার্সালের ঘর পাইনি। আমরা মেচেদায় গিয়ে রিহার্সাল করেছি। এই মুহুর্তে আমরা মঞ্চে নামার জন্য পুরোপুরি তৈরি। আমাদের এবারের পালা ‘বিসর্জনের পরে’, রচনা, নির্দেশনা আমার। আমার সঙ্গে নামভূমিকায় রয়েছেন কাকলি চৌধুরী। সঙ্গীত স্বপ্ন পাকড়াশী। নতুন পুরনো মিলিয়ে এবারও যথেষ্ট শক্তিশালী দল আমাদের।’
যাত্রা নির্দেশিকা রুমা দাশগুপ্ত ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সোমবার থেকে কালনায় শুরু করলেন নতুন পালার রিহার্সাল। তিনি বলেন, ‘ আমাদের গতবারের হিট পালা ‘গঙ্গাপুত্র ভীষ্ণ’র পাশাপাশি নতুন পালা ‘ইস্টিশানের মা’। এই সময়ের মর্মস্পর্শী বিষয় এই পালার উপজীব্য। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।’ অনল, কাকলি, রুমা দাশগুপ্ত অপেক্ষায় আছেন নায়েক বন্ধুদের বায়নার জন্য। সামনের শীতের মরশুমে গ্রাম বাংলা আবার যাত্রার উৎসবে মেতে উঠুক চাইছে চিৎপুর, অবশ্যই করোনা বিধি মেনে।