fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

জীবনতলা শুটআউট… পুলিশের জালে হুগলির ত্রাস বিশাল দাস, গুলিবিদ্ধ ৩ জন

ফিরোজ আহমেদ, জীবনতলা: এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ আশ্রয় নিয়েছে দুষ্কৃতী দল। গ্রামের মানুষজন এই খবর পেয়ে একটি বাড়ি ঘেরাও করেন। এলাকার মানুষজনের আসার খবর পেয়েই সেখান থেকে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতী দল। মেছো ভেড়িতে আশ্রয় নেয়। পিছু ধাওয়া করেন জনা পঞ্চাশেক গ্রামবাসী। আর তখনই গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়েন তিন দুষ্কৃতী। অভিযোগ দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন তিন জন গ্রামবাসী।

ঘটনায় গ্রেফতার হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা ত্রাস বিশাল দাশ সহ ৩ জন। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগানার জীবনতলায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশাল দাসের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ আছে। বেশ কিছুদিন আগে এক ব্যক্তিকে খুন করার পর দেহ টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল সে। এরপর সেখান থেকে সে গা ঢাকা দেয়। আশ্রয় নেয় জীবনতলা থানার কুতুবুদ্দিন শেখের বাড়িতে। কুতুবউদ্দিন বিশালের পূর্বপরিচিত বলেই পুলিশকে জানিয়েছে সে। সোমবার রাতের ঘটনার পর বারুইপুর জেলা পুলিশের একটি বিশাল টিম ওই এলাকায় আসে। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই গুলি চালিয়ে ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।

অন্যদিকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাসকে জেরা করতে চুঁচুড়া থেকে হুগলি জেলা পুলিসের একটি দল জীবনতলা থানায় আসে। উল্লেখ্য, গতকাল রাতে জীবনতলায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে বিদ্ধ মাজেদ গাজি আলমগীর গাজি ও মোসলেম মোল্লা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। এবিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা বলেন, “দুষ্কৃতীরা এলাকায় অশান্তি তৈরি করার জন্যই ঢুকেছিল। এর পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র আছে। এলাকা অশান্ত করতেই এই সব করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: মমতার সঙ্গে বৈঠকের আগে সল্টলেকের গোর্খা ভবনে যা বললেন বিনয় তামাং…

বিধায়ক সওকাত মোল্লা জীবনতলায় শুটআউটের ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙ্গুল তুললেও পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল বিজেপি রাজনৈতিক চাপান-উতরে সরগরম জীবনতলা।

Related Articles

Back to top button
Close