fbpx
গুরুত্বপূর্ণদেশপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

‘জয় হরি বোল’, মতুয়া সমাজ আমাকে সব সময় আপন করে নিয়েছেঃ প্রধানমন্ত্রী

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ ‘জয় হরি বোল’ বলে হরিচাঁদ  ঠাকুরের প্রতি  বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকেলের দিকে প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে যায়। পরে নির্ধারিত সময় ভাষণ দিলেন মোদী। ভাষণে একদিকে মতুয়াদের প্রতি শ্রদ্ধা, উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মতুয়াদেরও রাজনৈতিক খুনোখুনি রুখতে সরব হওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

ভাষণের শুরুতে বাংলায় ভাষণ শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর গলায়। এদিন শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে গিয়ে  ঘুরিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোথাও রাজনৈতিক হিংসা হলে রুখে দাঁড়ান’।

প্রধানমন্ত্রী বললেন, হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে সকল পূণ্যার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিনন্দন ও নমস্কার। অতীতে তাঁর ওরাকান্দি সফরের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঠাকুরবাড়ি আমাকে সবসময় আপন করে নিয়েছে। ওরাকান্দি সফরের সময়েই আন্তরিকতা পেয়েছি। আজ ঠাকুরবাড়ির মতো মহাতীর্থে প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভালো লাগছে।

এই মহামেলা মতুয়া পরম্পরাকে স্মরণ করার উপযুক্ত সময়। এটা সেই মূল্যবোধগুলির প্রতি আস্থা দেখানোর সময়, যা হরিচাঁদ ঠাকুর দেখিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে গুরুচাঁদ ঠাকুর ও বড় মা তা আরও মজবুত করেছেন। আজ শান্তনু ঠাকুরের হাত ধরে এই পরম্পরাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

আর এই শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ফের রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।

এই ভাষণ থেকে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা, চক্রান্ত খুনোখুনি নিয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে যখন হিংসা বাড়ছে, মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, তখন হরিচাঁদ ঠাকুরের দর্শন সমাজের জন্য প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, জোর করে কারও রাজনৈতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করাটা সংবিধান বিরুদ্ধে। তাই রাজনৈতিক হিংসা এবং অরাজকতার বিরুদ্ধে সবার সরব হওয়া উচিত। রামপুরহাট কাণ্ড তথা রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মতুয়াদের উন্নয়নে কেন্দ্র সর্বদা সচেষ্ট, রাজ্য সরকারকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, মহিলাদের অধিকারের জন্য, তাঁদের সম্মানের জন্য সামাজিক লড়াই করেছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুর। তাঁর সময়ে মেয়েদের জন্য স্কুল খুলেছিলেন। এর থেকেই তাঁর মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় পাওয়া যায়। আজ মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে।

তবে রাজ্যের মতুয়া সমাজ যে বার্তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে, মতুয়া মহাসমাজকে নাগরিকত্ব দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তারপর থেকে অনেকগুলি দিন কেটে গিয়েছে, নাগরিকত্ব দানের কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। লাগু হয়নি সিএএ। এই অবস্থায় গত ক্ষোভ দেখা গিয়েছে মতুয়া সমাজে। বক্তৃতার সময়েও এই প্রসঙ্গ এড়িয়েই গেলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

Related Articles

Back to top button
Close