রায়দান শেষ হতে আদালত জুড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ঘোষিত হল বাবরি মসজিদ ধবংস মামলার রায়। লখনউয়ের বিশেষ আদালতে এই মামলার রায় পড়ে শোনালেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। ৩২ জনকেই ক্লিনচিট দিল আদালত। বিচারকের রায় অনুযায়ী বাবরি বেকসুর খালাস আডবানি, মুরলী মনোহর যোশি , উমা ভারতী, কল্যাণ সিংহ, সাক্ষী মহারাজ, সাধ্বী ঋতম্ভরা। বিচারক জানিয়ে দিলেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও জোড়াল সাক্ষ্য প্রমাণ নেই। আচমকা ঘটেছে এই ঘটনা। সেইসঙ্গে অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্রের তত্ব খারিজ করেছেন বিচারক। বাবরি ধ্বংসের ভিডিও ও ছবি বিকৃত করা হয়েছে। যে ছবি তোলা হয়েছে, তার কোনও নেগেটিভ নেই সিবিআইয়ের কাছে।
বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ। তাঁদের মৌখিক সাক্ষ্য এই মামলায় বড় ভূমিকা পালন করেছে। সিবিআই মোট ১০২৬ জন সাক্ষীর তালিকা প্রস্তুত করেছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক ও পুলিশকর্মীরা।
বাবরি ধ্বংসে রায় প্রায় ২০০০ পাতার। ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় রায় লেখার কাজ। বুধবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ সেই রায় পড়তে শুরু করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদই আদালত পৌঁছে গিয়েছিলেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। একে একে পৌঁছন সাধ্বী ঋতম্ভরা, সাক্ষী মহারাজরা। মোট ২৬ জন অভিযুক্ত যোগ দেন এজলাসে। তবে বয়সজনিত কারণে আসতে পারেননি লালকৃষ্ণ আডবানী ও মুরলিমনোহর যোশি। তাঁরা যোগ দেন ভিডিও কনফারেন্সে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আসতে পারেননি উমা ভারতী। আসেননি মোহান্ত নৃত্যগোপাল দাসও। অভিযুক্ত, সিবিআই-এর আইনজীবী এবং তাঁদের আইনজীবী ছাড়া কারও প্রবেশাধিকার ছিল না আদালত চত্বরে।
এদিকে এই রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘উচ্চতর আদালতে যাব’, জানিয়ে দিল মুসলিম ল বোর্ড।
আরও পড়ুন:বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় রায় পড়া শুরু করলেন বিচারপতি
ঠিক ২৮ বছর আগের, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভাঙা হয়েছিল। প্রায় তিন দশক পরে বুধবার অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর সেই মামলার রায় দিল লখনউয়ের সিবিআই আদালত। মামলায় অভিযুক্তদের সংখ্যা ৩২। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং। অন্যান্য ভিআইপি অভিযুক্তের মধ্যে ছিলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীমনোহর যোশি, বিনয় কাটিহার, সাক্ষী মহারাজ প্রমুখ। ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস করল আদালত। এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ছিলেন ৪৯ জন। তার মধ্যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন। আজ আদালতে অভিযুক্ত ৩২ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৬ জন।